প্রশিক্ষণ সম্মানীর টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে না দিয়ে শিক্ষকদের নগদ পরিশোধ করেছিলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. দুলাল আলম। নির্দেশনা না মেনে প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মানী ও ভাতা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে না দিয়ে উপজেলার আফজি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ডেকে নগদ টাকা দেন তিনি। তাই এ শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা শিক্ষা অফিসার মোহা. নাসির উদ্দীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল আলমকে শোকজ করেন। তাকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতজবাব দিতে বলা হয়েছে এ কর্মকর্তাকে। ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের
শোকজে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীদের সম্মানী ও ভাতার টাকা শিক্ষকদের নিজ নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্যান্সফারের মাধ্যমে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল আলম ওই নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে সব শিক্ষকদের সম্মানী ও ভাতা নগদ প্রদান করায় বিধি বর্হিভুত ও দায়িত্বহীনতার মতো কাজ করেছেন।
জানা গেছে, গত ২ জানুয়ারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইমেইলে ও শিক্ষা অফিসের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দুপুর ১২ টার সময় নির্দিষ্ট স্থানে সব শিক্ষককে উপস্থিত হয়ে সম্মানীর টাকা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।
প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকদের কাছ থেকে ৭ হাজার ২৮০ টাকায় কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের ৬ হাজার ৯৩০ টাকা করে দেয়া হয়। এজন্য শিক্ষকদের তোপের মূখে কয়েকদফা টাকা দেয়া বন্ধ করে দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে টাকা বিতরণ শেষ করেন। প্রত্যেক শিক্ষকের ৩৫০ টাকা করে কেটে নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকরা।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোহা. নাসির উদ্দীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দুলাল আলমকে শোকজ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।