প্রশ্নফাঁস ও চাকরি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমানকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিষয়টি সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে একটি বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে পিএসসির প্রশ্নফাঁস এবং চাকরি বাণিজ্য চক্রের হোতা ও কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় এলাকার মিজানুর রহমান ওরফে এমডি মিজানের এ চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ পায়।
প্রতিবেদনে তারই আত্মীয় এটিএম মোস্তফার নামও উঠে আসে। বিষয়টি প্রকাশের পর পরই জাতীয় ইস্যুতে পরিণত হয়। এছাড়া জেলাজুড়ে এ ঘটনাটি নিয়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচিতরা নানা সমালোচনা করে পোস্ট দিতে থাকে।
পরে শনিবার বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আদিতমারী উপজেলা শাখার জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থি, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মিজানুর রহমানকে (সহ-সভাপতি, আওয়ামী লীগ, আদিতমারী উপজেলা শাখা, লালমনিরহাট) স্বীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক মিজানুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে অবগত করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।