মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের মামলায় রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের বহিস্কৃত শিক্ষিকা মাকসুদা আক্তার মালাসহ ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে ডা. অনিমেষ কুমার কুণ্ড, ডা. কে এম বশিরুল হক, ডা. ইউনুচ উজ্জামানের চার দিন এবং শিক্ষিকা মাকসুদা আক্তার মালা, ডা. জাকারিয়া আশরাফ ও ডা. জাকিয়া ফাবিরার দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। আরো পড়ুন : ফাঁস প্রশ্নে মেয়েকে মেডিক্যালে ভর্তি করিয়েছেন শিক্ষিকা মালা
রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একই মামলায় অপর চার আসামির রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন, ডা. মৈত্রী সাহা, ডা. সাবরিনা নুসরাত রেজা টুসী, ডা. মুস্তাহিন হাসান লামিয়া ও ডা. নাজিয়া মেহজাবিন টিশা।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা মিরপুর মডেল থানায় প্রশ্নফাঁসের মামলায় আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ১৭ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন।
এদিন শুনানিকালে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের পক্ষে কাজী নজিবউল্যাহ হিরুসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
জানা যায়, গত ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ১২ চিকিৎসকসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডির সাইবার টিম। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১০ জন মেডিক্যাল প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের কাছ থেকে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত চক্রের অন্য সদস্য ও ফাঁস হওয়া প্রশ্নে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর নাম পাওয়া যায়। এছাড়াও এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া মুন্নুর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গোপন ডায়েরি থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা চক্রের সদস্যদের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
জানা যায়, মাকসুদা আক্তার আইডিয়াল স্কুলের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে তাকে আটক করে সিআইডি। তিনি নিজের মেয়ে ইকরা বিনতে বাশারকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করিয়েছিলেন। তার মেয়েকেও আটক করে পরে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে মেডিক্যালের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে মাকসুদাকে আটক করা হয়েছিলো।