চাঁদপুরের কচুয়ায় স্কুল শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে অস্বীকার করায় চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে বেত্রাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। ওই পরীক্ষার্থীর নাম ইব্রাহিম।
গত রোববার দুপুরে উপজেলার সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কামাল বিএসসি’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। শিক্ষকের অতিরিক্ত বেত্রাঘাতের কারণে গুরুতর আহত হয় ওই শিক্ষার্থী। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী চিকিৎসা শেষে সফিবাদ গ্রামের নিজ বাড়িতে রয়েছে। আহত শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন সফিবাদ গ্রামের মানিক মোল্লার ছেলে।
আহত শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন জানান, গত রোববার ক্লাস চলাকালীন শ্রেণি শিক্ষক মোস্তফা কামাল আমাদের প্রাইভেট পড়ার কথা তুললে আমরা প্রাইভেট পড়তে অস্বীকৃতি জানাই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোস্তফা কামাল আমার পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইচ্ছামতো বেধড়ক বেত্রাঘাত করে। আহত শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেনের স্বজনরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা বলেন, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তফা কামালের কাছে শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট না পড়লে ইতিপূর্বে শিক্ষার্থীদের মারধরসহ নানা ভাবে হয়রানি করার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। খবর পেয়ে বিকালে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস সফিবাদ গ্রামে আহত শিক্ষার্থী ইব্রাহিমকে দেখতে যান এবং তার পরিবারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ওইদিন দুপুরে সফিবাদ গ্রামের স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে জড়ো হন এবং ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোস্তফা কামাল বিএসসি বলেন, সকালে বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীরা পিটি না করায় ক্লাস চলাকালীন তাদের জিজ্ঞাসা করায় ব্যাপক হট্টগোল করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইব্রাহিম নামের ওই ছাত্রকে কয়েকটি বেত্রাঘাত করেছি।
তবে অনিচ্ছাকৃত বেত্রাঘাত করা আমার সঠিক হয়নি বলে দুঃখ প্রকাশ করছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলী আশ্রাফ খান বলেন, শ্রেণিকক্ষে কোনো ভাবে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করার নিয়ম নেই। তবে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। বিষয়টির খোঁজখবর নেয়া হবে।