প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষায় পঞ্চম শ্রেণির ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবেন। বৃত্তি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন কিভাবে হবে-তা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চলছে জল্পনা কল্পনা। তবে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে স্কুলের ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার মনোনয়ন দেয়া যাবে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালনার নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ার হায়াত স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রাথমিকের বৃত্তি দেয়ার জন্য মেধা যাচাইয়ের জন্য বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোনয়ন দেবেন। ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সম নম্বরধারীদের মধ্যে বিষয়ভিত্তি নম্বরের ক্রমানুসারে মনোনয়ন দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যথাক্রমে বাংলা, গণিত, ইংরেজি, প্রাথমিক বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনা করতে হবে। একাধিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ছয়টি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর একইহলে সে ক্ষেত্রে শ্রেণি রোল নম্বর প্রাধান্য পাবে।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী সংখ্যা ভগ্নাংশ হলে গাণিতিক নিয়মে ০ দশমিক ৫ এবং তদুর্দ্ধ ভগ্নাংশকে পরবর্তী পূর্ণ সংখ্যায় রূপান্তর করে শিক্ষার্থী সংখ্যা গণনা করতে হবে।
জানা গেছে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বরে দুই ঘণ্টার বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রতিটি বিষয় থেকে ১৫টি এমসিকিউ ও একটি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে। উপজেলা পর্যায়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে এ পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।