দৈনিকশিক্ষাডটকম, আদালত : গত ৮ ডিসেম্বর দেশের ১৮ জেলার অনুষ্ঠিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে পরীক্ষা বাতিলের প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রশ্নফাঁস, প্রশ্ন জালিয়াতি এবং পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম এ লতিফ প্রধান ও দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
তুষার কান্তি রায় সাংবাদিকদের বলেন, প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পরীক্ষার্থীদের করা আবেদন ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ পরীক্ষার বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এক প্রার্থী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে গত ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেছিলেন। গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই লিখিত পরীক্ষার ফল গত ২০ ডিসেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হন।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা প্রথম পর্বের ১৮ জেলার পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেয়া এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের সব কার্যক্রম স্থগিত করতে ডিপিইর ডিজি বরাবর আবেদন করেছিলেন প্রার্থীদের একাংশ।
গত ৮ ডিসেম্বর বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগের এ নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইস জালিয়াতির অভিযোগে ১২৪ জন গ্রেফতার হয়েছিলো।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর হরতাল-অবরোধের কারণে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পেছানোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আবেদন করেছিলেন প্রার্থীদের একাংশ।