প্রাথমিকের শিক্ষকদের গেজেট সংশোধনসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ।
রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি ।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক এস এম আব্দুল গফুর তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো,
১. সরকার কর্তৃক আপিলকৃত ৭৩/২৩ মামলা প্রত্যাহার করে গেজেট থেকে বাদ পড়া প্রধান শিক্ষকদের গেজেট সংশোধন।
২. সব শিক্ষকদের টাইমস্কেল সমস্যা দ্রুত নিরসন।
৩. গেজেট অনুসারে ৫০ শতাংশ চাকরিকাল গণনা করে সব সুযোগ- সুবিধা প্রদান।
প্রসঙ্গত, জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আগে নিয়োগ পাওয়া প্রধান শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা কমিটি ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক সুপারিশকৃত। কিন্তু স্কুল জাতীয়করণের পর শিক্ষক জাতীয়করণ করা হয়। তবে নাম প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত না করে সহকারী শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়। সরকারি শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত হওয়ায় তারা প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাজ করার জন্য মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষাসহ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটের জন্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্ট প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ প্রদান করে।
এদিকে মামলার রায়ের আলোকে পদবঞ্চিত প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেট করার জন্য আবেদন করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। বরং আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হচ্ছে না। এখনো অনেক মামলা হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনালে চলমান আছে। জাতীয়করণের সময় জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে ক খ গ ঘ চকে ও এক নং প্রধান শিক্ষক পদে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। এ ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় অধিগ্রহণ আইন ১৯৭৪ বিধিমালায় বলা আছে, প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি তখনই করা যেতে পারে, যদি ব্যক্তির প্রয়োজনীয়তা যোগ্যতা থাকে। শিক্ষকেরা সবাই যোগ্যতা সম্পন্ন।