প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার অনুদান দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এর অধিকাংশই ব্যয় হবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে। এছাড়া ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইটি) ব্যবহার করে কীভাবে সেবা সহজীকরণ করা যায় সে খাতেও অর্থ ব্যয় করা হবে। প্রাথমিকভাবে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে অনুদানের প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়া যাবে। ইউনিসেফ ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশনের (জিপিই) আওতায় এ অনুদান পাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউনিসেফের মধ্যস্থতায় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ অর্থ পাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা। এ সংক্রান্ত একটি কর্মশালা রোববার (৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুদান দেয়া হচ্ছে। সিস্টেম ক্যাপাসিটি, সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন এবং মাল্টি প্ল্যান গ্রান্ট। সিস্টেম ক্যাপাসিটির মধ্যে শিক্ষকদের উন্নয়ন, উচ্চতর প্রশিক্ষণ এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ খাতে প্রাপ্ত অর্থ মূলত শিক্ষকদের উন্নয়নে ব্যয় হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন শাখার একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকরা দুই ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। তবে সেটি পর্যাপ্ত নয়। শিক্ষকদের মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের শিখন পদ্ধতির উন্নয়নসহ সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর জন্যই মূলত অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ৫ বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা অনুদান পাওয়া যাবে। প্রতি বছর চারটি কিস্তিতে টাকা দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে ৬৭ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। প্রাপ্ত অর্থগুলো প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যয় করা হবে।