প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডসহ দ্রুত প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক ও বর্তমান নেতারা। শনিবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষক সমাজের মর্যাদা থার্ড ক্লাস থেকে সেকেন্ড ক্লাসে উন্নীত করার দাবি ও ১০ম গ্রেডসহ শতভাগ প্রধানশিক্ষক পদে পদোন্নতির দাবি জানিয়েছেন নেতারা।
বিবৃতিদাতা সাবেক নেতারা হলেন-সিনিয়র সহ-সভাপতি সামছুদ্দিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান ও গাজীউল হক চৌধুরী এবং অর্থসম্পাদক সুবল চন্দ্র পাল।
বর্তমান নেতারা হলেন-মো. আ. কাশেম, আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, নুরুজ্জামান আনসারী, আছমা খানম, আ. ওয়াদুদ ভুইয়া, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন মনিরুজ্জামান, মো. হাবিবুর রহমান ও মো. আ. হালিম।
সহকারী শিক্ষক নেতারা হলেন-আনিসুর রহমান, তপন মন্ডল, শাহীনূর আক্তার, শাহিনুর আল আমিন, অজিত পাল, সামসুদ্দিন মাসুদ, নূরে আলম সিদ্দিকী (রবিউল), খাইরুন নাহার লিপি, আনোয়ার উল্যা, মু. মাহবুর রহমান ও সাবেরা বেগম।
বিবৃতিতে তারা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের মর্যাদার থার্ড ক্লাস থেকে মুক্ত হয়ে সেকেন্ড ক্লাসে উন্নীত করার দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন। তাদের যৌক্তিক প্রত্যাশা অন্যান্য সমযোগ্যতা ও সমকাজের কর্মচারীদের সঙ্গে বেতন বৈষম্য দূর করে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন করা। এ ছাড়াও দীর্ঘ ৭ বছর ধরে বিপুল সংখ্যক সহকারী শিক্ষক পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে প্রধানশিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাদের অনেকেই অবসর ও মৃত্যুবরণ করেছেন।
সারা দেশে দীর্ঘ সময় থেকে ৩৪ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। পদগুলোতে সহকারী শিক্ষকেরা অতিরিক্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। অপরদিকে, বহিরাগত ৩৫ শতাংশ প্রশিক্ষণবিহীন নিয়োগ যথারীতি চলছে। সরাসরি ৩৫ শতাংশ, নিয়োগ অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণবিহীন হওয়ায় শিশু শিক্ষা মারাত্মক বিপর্যস্ত হতে হচ্ছে।
নেতারা আশাবাদী, অবিলম্বে প্রাথমিক শিক্ষকদের মর্যাদা উন্নীত ও বৈষম্য নিরসনকল্পে অবিলম্বে সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডসহ শতভাগ প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হবে।