প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা এবং ভাইভা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে পরীক্ষার্থীরা বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের পরীক্ষায় ব্যাপক প্রশ্নপত্র ফাঁস, অব্যবস্থাপনা ও উত্তরপত্র জালিয়াতি হয়। সেই প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। এ মর্মে গত ১২ ডিসেম্বর মৌলিক অধিকারের ১০২ ধারায় হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করা হয়।
‘এরপর ১৮ ডিসেম্বর কোর্ট ভ্যাকেশনে চলে গেলে আইনজীবী নোটিশ পাঠানো হয় এবং কোর্টে ফায়সালা না আসা পর্যন্ত যেন ফল ঘোষণা না করা হয় সেজন্য সব অধিদপ্তর বরাবর চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু ২০ ডিসেম্বর ফল প্রকাশ করা হয়। যেখানে মোট পরীক্ষার্থীর মাত্র ২ শতাংশ পাস করানো হয় এবং ৩ লাখ ৫০ হাজার শিক্ষার্থীকে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়।’
পরীক্ষার্থীরা আরও জানান, গত ৩ জানুয়ারি মামলার রায় জানানো হয় এবং রুলস অ্যান্ড ডিরেকশন ও জি, জি-১কে ২৮ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্যও বলা হয়েছে। এই রায়ের কপি কোর্ট থেকে ১৩টি অধিদপ্তরে পৌঁছানো হয়েছে এবং তাদের কোর্টে জবাব দেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। কোর্ট থেকে তাদের কাছে কাগজ পাঠানো হয়েছে এবং শিক্ষার্থীরা নিজেও উপস্থিত হয়ে মামলার রায়ের কপি পৌঁছে দিয়েছে। কিন্তু তারা এসব বিষয় তোয়াক্কা না করে ভাইভার ডেট দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।