বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওক্যাব)। ঢাকাভিত্তিক এই সংগঠনটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্বকারী সাংবাদিকদের প্ল্যাটফর্ম।
ওক্যাব সোমবার ১৮ নভেম্বর এক বিবৃতিতে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং সিনিয়র সদস্যসহ ১৬৭ সাংবাদিককে তাদের স্বীকৃতি ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে।
ওক্যাব মনে করে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রেস ইনফরমেশন বিভাগের এমন পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির বিপরীত। স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল করার মতো পরিকল্পনার আওতায় আরো সাংবাদিকদের আনার জন্য সরকারকে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ওক্যাব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা বা হত্যার চেষ্টার কাল্পনিক অভিযোগেরও তীব্র প্রতিবাদ করে বলেছে, এটি নোবেল শান্তি বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং কোনো ভয়-ভীতি থেকে মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার অঙ্গীকারের তীব্র বিপরীত। ওক্যাব বলেছে, মিডিয়াকে নীরব করার যে কোনো প্রচেষ্টা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকি, যা শেষ পর্যন্ত দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে নষ্ট করবে।
ওক্যাব’র সভাপতি নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির একটি সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশ্বব্যাপী অন্যান্য মিডিয়া গোষ্ঠীগুলো যেমন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে), কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিজেএ), রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, ঢাকা-ভিত্তিক সম্পাদক পরিষদ এবং অন্যান্য সাংবাদিক ইউনিয়নের হ্বানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সমস্ত কাল্পনিক অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে।
ওক্যাব জানিয়েছে, সংস্থাটি স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করে এবং এটি আশা করে যে অন্তর্বর্তী সরকার দেশে একটি টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সবকিছু করবে। সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করার সিদ্ধান্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ওক্যাব আশা করে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্বারা সংবাদ মাধ্যমের আগের কোনো প্যাটার্নের পুনরাবৃত্তি হবে না।