এক দাখিল পরীক্ষার্থীকে ফরম পূরণের তথ্য সংশোধনে অবহেলা করেছিলেন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অফিস সহকারী। ফরম পূরণের তথ্য সংশোধনের সুযোগ থাকলেও তারা এ বিষয়ে কোনো পদেক্ষপ নেননি। ফলে বাধাগ্রস্ত হয়েছে পরীক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন। তদন্তে বিষয়টি উঠে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে ওই প্রধান ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। তাদের বেতন বা এমপিও কেনো স্থগিত বা বন্ধ করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে তাদের শোকজ করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীকে ফরম পূরণে বাধা দেয়া ওই দুইজন হলেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার ইসলামপুর ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার এ টি এম শামসুদ্দিন ও অফিস সহকারী মো. আলী আকবর। ইতোমধ্যে তাদের শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার শোকজ নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে।
অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক মো. জাকির হোসাইন স্বাক্ষরতি নোটিশে বলা হয়েছে, ইসলামপুর ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার ও অফিস সহকারী ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ সংশোধনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সে বিষয়ে পদক্ষেপ না নিয়ে একজন পরীক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন বাধাগ্রস্ত করেছেন বলে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এ আচরণ এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো পরিপন্থী।
তাই কেনো তাদের এমপিও স্থগিত বা বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার জবাব আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে ওই দুই শিক্ষককে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।