অন্তর্বর্তী সরকারে নতুন করে ৩ উপদেষ্টা শপথ নেয়ার পর আবারও দপ্তর পুনর্বণ্টন করা হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পেয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে তার দায়িত্বে ছিল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; খাদ্য মন্ত্রণালয়; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
সালেহ উদ্দিন আহমেদের দায়িত্বে ছিল অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, তিনি পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়।
ড. আসিফ নজরুলের দায়িত্বে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয়; প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ছিলো। তবে তার দায়িত্বের জায়গা কমেছে তিনি এখন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালযয়ের দায়িত্ব পালন করবেন।
উপদেষ্টা হাসান আরিফ পেয়েছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; এবং ভূমি মন্ত্রণালয়। এখন তিনি পেয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত ছিলেন তিনি পেয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে তিনি পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তিনি পেয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়াও, শেখ বশিরউদ্দীন পেয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় আর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পেয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।