ফের ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সামনে ফেল করা শিক্ষার্থীদের জমায়েতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গিয়েছে। এর আগে গত রোববার সম্প্রতি প্রকাশিত এইসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল বাতিল করে সবাইকে অটোপাস দেয়ার দাবিতে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন ফেল করা শিক্ষার্থীরা। একই দিন আরো কয়েকটি শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও ও সড়ক অবরোধের ঘটনাও ঘটে। প্রতিবাদে পরদিন সোমবার মানববন্ধন করে নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবি জানান ঢাকা ও বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই দিন সব শিক্ষাবোর্ডে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেয়া হয়। প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের কথাও জানানো হয়। কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে গতকাল বুধবার ফেল করা শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা সরিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তাদের একটি অংশ ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সামনে অবস্থান নেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ফের হামলার আশঙ্কায় দৈনন্দিন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
ফের ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সামনে ফেল করা শিক্ষার্থীদের জমায়েতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গিয়েছে। এর আগে গত রোববার সম্প্রতি প্রকাশিত এইসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল বাতিল করে সবাইকে অটোপাস দেয়ার দাবিতে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন ফেল করা শিক্ষার্থীরা। একই দিন আরো কয়েকটি শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও ও সড়ক অবরোধের ঘটনাও ঘটে। প্রতিবাদে পরদিন সোমবার মানববন্ধন করে নিরাপদ কর্মপরিবেশের দাবি জানান ঢাকা ও বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই দিন সব শিক্ষাবোর্ডে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেয়া হয়। প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের কথাও জানানো হয়। কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করে গতকাল বুধবার ফেল করা শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা সরিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তাদের একটি অংশ ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের সামনে অবস্থান নেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। ফের হামলার আশঙ্কায় দৈনন্দিন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
এর আগে গত রোববার ঢাকাসহ কয়েকটি শিক্ষাবোর্ডে তাণ্ডব চালান ফেল করা শিক্ষার্থীরা। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকারের অফিস কক্ষে ঢুকেও ভাঙচুর চালান বিক্ষুব্ধরা। এ সময় তারা শিক্ষা ক্যাডারের দুই নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেন। হামলার সময়ে ধাক্কাধাক্কিতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। এছাড়া দেশের আরো কয়েকটি শিক্ষাবোর্ড ঘেরাও ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। রোববারের ওসব ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। শিক্ষা বোর্ড ভবনের সামনের সড়কে আয়োজিত ওই কর্মসূচি থেকে তারা প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে নিরাপদ কর্মপরিবেশ দাবি জানান। বরিশাল বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও মানববন্ধন করে একই দাবি জানান এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে সূত্রগুলো জানায়, হামলার ঘটনার পুরাবৃত্তির আশঙ্কা থেকে সব বোর্ডে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হবে।
এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছেন অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
অপরদিকে গত তিন দিনে ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, যশোর, দিনাজপুর বোর্ডে অটোপাশের দাবিতে ফেল করা শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। সড়ক অবরোধ করেছেন। কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গত ১৫ অক্টোবর প্রকাশিত এইচএসসির ফলকে বৈষম্যমূলক বলছেন। তাই বৈষম্যহীন ফল প্রকাশের দাবি জানান। তাদের বক্তব্য, সবাইকে অটো পাস করিয়ে দিলেই কেবল সেটা বৈষম্যহীন হবে। কেউ পাস করবে, কেউ ফেল করবে, সেটা হবে না।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।