রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীর একটি বাসায় রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদ ফেসবুক লাইভে এসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
রোববার (১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বনশ্রীতে নিজ বাসায় এ কাণ্ড ঘটান ওই ছাত্রলীগ নেতা। সংবাদ পেয়ে রামপুরা থানা-পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খালেক সাইফুল্লাহ ফরিদ তাঁর বনশ্রীর বাসায় রাতে ফেসবুক লাইভে এসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘জানতে পেরেছি স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে তাঁর মনোমালিন্য চলছিল। এ কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারেন। প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে।’
খিলগাঁও থানা সূত্রে জানা যায়, ফরিদ গত মার্চে একজন পুষ্টিবিদকে গোপনে বিয়ে করেছিলেন। তিনি রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থীও ছিলেন।
গত ২৩ জুলাই খিলগাঁও থানায় নারী নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ফরিদের স্ত্রী।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ১৩ তারিখে তাঁকে বিয়ে করেন খালিদ সাইফুল্লাহ। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করেন। এর
মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ নিয়ে শুরু হয় সাংসারিক ঝামেলা। তিনি ভ্রূণ হত্যা করেন।গত ২৪ জুলাই তাঁকে থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে জামিন পান খালিদ সাইফুল্লাহ।