ফ্রান্সে সন্দেহজনক ব্যক্তির ওপর ফোনের মাধ্যমে গোপন নজরদারি করতে পারবে দেশটির পুলিশ। জাস্টিস রিফর্ম বিলের অংশ হিসেবে বুধবার এমন আইন পাস করেছে ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো সরকার।
এতে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিকে যদি পুলিশ অপরাধী হিসেবে সন্দেহ করে তবে ওই ব্যক্তির ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসে গুপ্তচরের মতো নজর রাখার অধিকার পাবে পুলিশ। তারা চাইলে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ফোনের ক্যামেরা, স্থান ও শব্দ রেকর্ডের অনুমতি চেয়ে নিতে পারবে। তার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি থেকে শব্দ সবই রেকর্ড করা যাবে।
গত সপ্তাহে পুলিশের গুলিতে ১৭ বছরের এক কিশোর নিহত হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স। পুলিশের দাবি, ওই কিশোর ট্রাফিক আইন বেশ কয়েক দফায় ভঙ্গ করেছিলেন। তাই তাকে থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিশোর তা না মেনে গাড়ি চালিয়ে যেতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কিশোরের। এ ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে নামে ফরাসি জনগণ। এই আন্দোলনের মধ্যেই বুধবার আইনটি পাস হয়।
এদিকে গুপ্তচরবৃত্তির এই আইন প্রণয়নের পর বিভিন্ন বাম দল ও মানবাধিকার কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন আইনপ্রণেতারা। ডিজিটাল অধিকার গ্রুপ ‘লা কোয়াড্রেচার ডু নেট মে’ এক বিবৃতিতে জানায়, এসব আইন ‘মৌলিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ বাড়ায়’।
তবে এসব মানতে রাজি নন ফরাসি আইনমন্ত্রী এরিক দুপদ মরেত্তি। তিনি বলেন, ‘এই গোপন নজরদারির আওতায় সারা বছরে সম্ভবত অল্প সংখ্যক মানুষ থাকবেন। তাও বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে পুলিশকে।’
মরেত্তি বলেন, ‘নজরদারি একটানা ছয় মাসের বেশি চালানো যাবে না। অন্ততপক্ষে পাঁচ বছরের জেল হতে পারে এমন অপরাধের সম্ভাবনা থাকলেই কেবল গোপন নজরদারি করতে পারবে পুলিশ।’
সূত্র: ইয়াহু নিউজ