জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের পাঁচ তলায় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
প্রতিযোগিতায় ক্যাম্পাসের পাশ্ববর্তী বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা দুটি ক্যাটাগরিতে আয়োজিত হয়। ১ম থেকে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘ক’ গ্রুপ এবং ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘খ’ গ্রুপে আলাদাভাবে ৩ জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও প্রতি গ্রুপ থেকে বিশেষ বিবেচনায় ৭ জন প্রতিযোগীকে ‘নন্দন পুরস্কার’ দেয়া হয়।
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ সোহরাব উদ্দীন জানান, দুটি দিবসকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। প্রতিবারই আমাদের এমন আয়োজন করা হয়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের ৮-৯ টি স্কুলের বাচ্চাদের আমরা দাওয়াত দিয়েছিলাম। এ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এখানে এসে তারা দেশ, মাটি, প্রকৃতি, বঙ্গবন্ধুকে এঁকেছে। তাদের এ রঙের ছটায় আসলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রঙিন হয়ে উঠেছে। এছাড়া এ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এই শিশু-কিশোর, তরুণ প্রাণগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসরে আসলো, তারা জানতে পারলো বিশ্ববিদ্যালয় কেমন।
অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী পর্বে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মইন বলেন, তোমরা যারা ছবি এঁকেছো, যারা এসেছো তাদের আমি ধন্যবাদ দেই৷ আমি আশা করব তোমরা প্রতিবছরই আসবে৷ আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমরা এখানে এসেছি। যার জন্য নিজেদেরকে বাঙালি বলতে পারছি, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে, তাঁর আজ জন্মদিন। তোমরা সবসময় বঙ্গবন্ধুর কথা মাথায় রাখবে৷ তোমরা উনার কথা চিন্তা করবে, উনার বক্তৃতা পড়বে, উনাকে জানবে এবং ঐভাবে তোমরা বড় হবে যাতে বাংলাদেশ আরো সুন্দর হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শক, বিভিন্ন হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান এবং আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিত্রাঙ্কনের সামগ্রী ও সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য চকলেট-বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাবার সরবরাহ করা হয়। এছাড়া, পুরস্কার বিতরণী পর্ব শেষে বিলুপ্ত শাখা ছাত্রলীগের একাংশ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে চকলেট বিতরণ করে।