বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন - দৈনিকশিক্ষা

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন

এম. আবুল ফয়েজ মামুন |

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙালি স্বাধীনতার এক মহানায়ক।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্ম না হলে হয়তো আজো আমরা পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ থাকতাম।বাঙালির বীজ বপন করা হয় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের হাত ধরে।এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত হয় মুক্তিযুদ্ধ এবং এই মুক্তিযুদ্ধে অগ্রনী ভুমিকা রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি স্বাধীনতা শব্দের মর্মার্থ বুঝতে পারেন।তাঁর এই ১৮ মিনিটের ভাষণের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর শোষণ, নিপীড়ন ও বাঙালির অধিকার আদায়ে কথা তুলে ধরেন।পরবর্তী মুক্তিযুদ্ধের জন্য বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ ও অনুপ্রানিত করেন।বাঙালি জাতির অনেক স্মরণীয় দিন আছে, যা আমাদের মনে রাখতে হবে।৭ই মার্চ আমাদের জন্য এমন একটি দিন।১০ লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান, বন্দুক ও মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন..এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।এবারের সংগ্রাম,স্বাধীনতার সংগ্রাম। সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিয়েছিলেন।

জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গনতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা..রাষ্ট্র পরিচালনার এই চার মূলনীতি বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।ভাষণে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথাই বলেছিলেন।তিঁনি বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির কথা বলেছেন।তাঁর বক্তৃতায় বাঙালি জাতির ওপর তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের নির্যাতনের করুন বর্ণনা দিয়েছেন।একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বাঙালি জাতির গনতান্ত্রিক অধিকারের দাবি তুলেছেন।বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে পাকিস্তানি শাসকদের ষড়যন্ত্রের মুখে বাংলার জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের দিক-নির্দেশনা দেন।মূলতঃ বঙ্গবন্ধু তাঁর এ ভাষণের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।৬ মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া খান টেলিফোনে কথা বলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা ও আওয়ামীলীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে।৬ মার্চ জেনারেল ইয়াহিয়া তার দীর্ঘ টেলিফোনে আলাপে তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতা বঙ্গবন্ধুকে বলার চেষ্টা করেন..তিনি যেনো এমন কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহন না করেন,যেখান থেকে ফিরে আসার উপায় আর না থাকে। এমন এক কঠিন সংকটময় পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সে সময় এমন ছিলো যে,কোনো কোনো বিদেশি পত্রিকাও তখন জানিয়েছিলো, ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়তো পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন।১৯৭১-এর ৫ মার্চ লন্ডনের গার্ডিয়ান, সানডে টাইমস, দি অবজারভার এবং ৬ মার্চ ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ছাপা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মার্চে পূর্ব পাকিস্তানের একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ সরাসরি কেনো স্বাধীনতার ঘোষণা করেননি,তার ব্যাখ্যা পরবর্তীকালে তিনি নিজেই দিয়েছেন।১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব ব্রিট্রিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে এন ডব্লিউ টিভির জন্য দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ৭ই মার্চের ঐ ঘটনা বর্ণনা করেন।ফ্রস্ট জাতির পিতার কাছে জানতে চান, আপনার কি ইচ্ছা ছিলো যে, তখন ৭ই মার্চ রেসকোর্সে আপনি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ঘোষণা দেবেন? জবাবে জাতির পিতা বলেন, আমি জানতাম এর পরিণতি কী হবে!সভায় আমি ঘোষণা করি যে,এবারের সংগ্রাম মুক্তির, শৃঙ্খল মোচন এবং স্বাধীনতার।

ফ্রস্ট প্রশ্ন করেন, আপনি যদি বলতেন, আজ আমি স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ঘোষণা করছি, তো কী ঘটতো? জাতির পিতা উত্তর দেন, বিশেষ করে ঐ দিনটিতে আমি এটা করতে চাইনি।কেননা, বিশ্বকে তাদের আমি এটা বলার সুযোগ দিতে চাইনি যে,বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং আঘাত হানা ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প ছিলো না। আমি চাইছিলাম..তারাই আগে আঘাত হানুক এবং জনগণ তা প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত ছিলো। ইতিহাস প্রমান করে,৭ই মার্চ সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা না করে জাতির পিতা শতভাগ সঠিক কাজটিই করেছেন।গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অমর কবিতা শুনিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।১৯৭১ এর ৭ই মার্চের পড়ন্ত বিকালে অপ্রতিরোধ্য বজ্রকন্ঠ, দ্রোহের আগুন জ্বালিয়েছিলো ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে।ঢাকায় রেসকোর্স মাঠে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণের অনবদ্য চিত্র তুলে ধরেছেন কবি নির্মলেন্দু গুন তাঁর স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো কবিতায়। কবি লিখেছেন, সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই অমর ভাষণকে ইউনেস্কো ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।বড় বিষয় হলো, যুদ্ধ ও সামাজিক বিপর্যয় এবং সংরক্ষণের অভাবে বিশ্বজুড়ে ঝুঁকিতে থাকা নথিগুলোকে ২০ বছর ধরে বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।এ পর্যন্ত এসব স্বীকৃতির মধ্যে ইউনেস্কো প্রথম কোনো ভাষণকে স্বীকৃতি দেয়।যা ছিলো অলিখিত।ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড কর্মসূচির অধীনে আন্তর্জাতিক তালিকায় (ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রার) মোট ৭৮টি দলিলকে মনোনয়ন দেয়।এ তালিকায় ৪৮ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণটি স্থান পায়।

বিশ্বঐতিহ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার আন্তর্জাতিক তালিকায় মূলত মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অংশের ঘটনার সংরক্ষণ ও সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে ইউনেস্কো।এই তালিকায় ঠাঁই পেতে হলে পর্যাপ্ত গ্রহনযোগ্যতা ও ঐতিহাসিক প্রভাব থাকতে হয়।প্যারিসে ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর চারদিনের এক সভায় বসেছিলো ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি (আইএসি)।সেখানে ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রামের পক্ষ থেকে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল নিবন্ধনের জন্য ৭৮টি দলিলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। আইএসির এই কমিটিতে ছিলেন ১৫ জন বিশেষজ্ঞ।এর চেয়ারম্যান ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ন্যাশনাল আর্কাইভের মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আলরাইজি।তাঁরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে নতুন করে প্রস্তাব করা ঐতিহাসিক দলিল পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করেন।দুই বছরের প্রক্রিয়া শেষে দলিলগুলোকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।এসব মনোনয়ন সম্পর্কে সুপারিশ করে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বকোভা তখন বলেছিলেন,আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি..এ কর্মসূচি পরিচালিত হওয়া উচিত দালিলিক,ঐতিহ্য ও সংরক্ষণের জন্য।যাতে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সংলাপ,আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শান্তির চেতনা তাদের মনে লালন করতে পারেন।১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রাম চালু করে ইউনেস্কো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দালিলিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ব্যবহারে সচেতনতার তাগিদে এটি চালু করা হয়।যুদ্ধ ও সামাজিক অস্থিরতা, সম্পদের অপ্রতুলতার কারণে দালিলিক ঐতিহ্য নিয়ে সমস্যা বেড়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন সংগ্রহশালা বিনষ্ট হয়েছে,লুটপাট,অবৈধ বিক্রি, ধ্বংস,অপর্যাপ্ত অবকাঠামো ও তহবিলের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দলিল।অনেক দলিল নষ্টের ঝুঁকিতে।ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড তালিকায় থাকে ঐতিহ্যময় ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার স্মারক নিদর্শন।এমওডব্লিউ কর্মসূচির আওতায় ১৯৯৭ থেকে এ পর্যন্ত ৪২৭টি দলিলকে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতির দিয়েছে ইউনেস্কো।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো ঐতিহাসিক দলিলের স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য অন্যতম একটি অর্জন। 

বর্তমান সরকার বাঙালির রক্তের অক্ষরে লেখা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন আইন,২০১১(২০১১১৪ নং আইন)-এর ৫৫ ধারা বলে বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫০(খ)অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পঞ্চম তফশিল দ্বারা ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উপরন্তু সংবিধানের ৭(খ) ধারা অনুযায়ী সংবিধানের ১৫০ অনুচ্ছেদে একটি অপরিবর্তনযোগ্য বিধান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।ফলে পঞ্চম তফসিলে উল্লিখিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণটি আমাদের সংবিধানের একটি অপরিহার্য ও অপরিবর্তনীয় অংশে পরিণত হয়েছে।বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ১৮ দিন পর ২৫ মার্চ রাতে ঢাকা শহরে গনহত্যার মাধ্যমে নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান।বঙ্গবন্ধুর ভাষণে মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত বাঙালি জাতি ৯ মাসের যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো।বিশ্বের মানচিত্রে যুক্ত হলো আরো একটি দেশ বাংলাদেশ। ঐতিহাসিক এই দিনে জাতির পিতাকে স্বরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধা আর গভীর ভালোবাসায়। 

লেখক : এম. আবুল ফয়েজ মামুন, গবেষক ও কলামিস্ট 

 

চট্টগ্রামে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২ - dainik shiksha চট্টগ্রামে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২ ঢামেকে একজনের মৃত্যু - dainik shiksha ঢামেকে একজনের মৃত্যু জবির কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ৪ - dainik shiksha জবির কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ৪ বেরোবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০০ - dainik shiksha বেরোবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০০ শহীদ মিনার এলাকায় অধ্যাপককে মারধর - dainik shiksha শহীদ মিনার এলাকায় অধ্যাপককে মারধর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেয়া হবে : কাদের - dainik shiksha সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেয়া হবে : কাদের সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই: ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই: ঢাবি উপাচার্য যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়বো - dainik shiksha যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়বো সায়েন্সল্যাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ - dainik shiksha সায়েন্সল্যাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে - dainik shiksha র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0064351558685303