লালমনিরহাটে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানিতে সব নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। এতে অন্তত ১৩টি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা ব্যারাজের ভাটির লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বাড়িঘরে পানি প্রবেশ ও আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। এতে পরিবার ও গবাদি পশু নিয়েও অসহায় অবস্থায় রয়েছে স্থানীয়রা।
বন্যার কারণে সদর উপজেলার আটটি ও আদিতমারীর পাঁটটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোয় পাঠদান বন্ধ রেখেছে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। ১৩টি বিদ্যালয়ের মধ্যে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার বলেন, পানি না সরা পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলোয় পাঠদান বন্ধ থাকবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, সদর উপজেলায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১১০ টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।