বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কর্মকর্তাদের সমমনা সংগঠন ‘ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করে বিভেদ সৃষ্টি করছে একটি শ্রেণি- এমন অভিযোগ এনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ সম্মেলন করেছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেল ৫ টায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি মো. বাহাউদ্দিন গোলাপ লিখিত বক্তব্যে বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠানে কোনো পেশাজীবী সংগঠন গঠন করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্যের স্বাক্ষরিত অনুমোদনের মাধ্যমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বরিশাল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের যাত্রা শুরু হয়।
একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কল্যাণ পরিষদ গ্রেড ১২-১৬ এবং কল্যাণ পরিষদ গ্রেড ১৭-২০ নামক মোট ৪টি অনুমোদিত পেশাজীবী সংগঠন রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট কর্মকর্তা সংখ্যা ১২৪। এই ১২৪ জন কর্মকর্তাই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। এ বছর গত ২ জুন ‘ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নামক একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭৬ জন কর্মকর্তা সরাসরি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন। এমন বাস্তবতা বাধ্য হয়েই আমরা সংবাদ সম্মেলন করছি এবং আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে এ জাতীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সজাগ সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক সুব্রত কুমার বাহাদুর দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমমনা অনেক সংগঠন সাংগঠনিক কার্যক্রম করতেই পারে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এতে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করতে সংগঠন গঠন করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাদিম মল্লিক, ফাতেমা মমতাজ মলি, মো. আতিকুর রহমান, কল্যাণ পরিষদ গ্রেড ১১-১৬ এর সভাপতি আরিফ হোসেন সুমন, সাবেক সভাপতি শাহাজাদা খানসহ প্রমুখ।