বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শের ই বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু হলে হেলমেট ও মাক্স পরিহিত দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় দুটি মামলা গ্রহণ করেছে পুলিশ। এতে বিবাদমান দুই পক্ষের ২৪ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
হামলার ১১ দিন পরে গতকাল বৃহস্পতিবার মামলা দুটি রুজু হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় থানা পুলিশ। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর মুকুল বলেন, ওই ঘটনায় আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছিলো। সেসব অ়ভিযোগ যাচাই-বাছাই করে দুটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আয়াত উল্লাহ বাদি হয়ে একটি মামলায় ৯ জনকে আসামি করেছে। অন্য মামলায় আল সামাদ শান্ত নামের শিক্ষার্থী ১৫ জনকে আসামি করেছে।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আয়াত উল্লাহর করা মামলায় আসামিরা হলেন, ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, গণিত বিভাগের মো. রায়হান ইসলাম ও আল মোবাশ্বের রিদম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলাম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের হাসিবুল ইসলাম শান্ত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ফাত্তাহুর রাফি, ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের ফারদিন খান,হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মো. শাওন, মার্কেটিং বিভাগের এইচ এম মিলনসহ অজ্ঞাত আরো ২০ থেকে ২৫ জন।
অন্যদিকে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আল সামাদ শান্তর করা মামলায় আসামি করা হয়েছে, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মুয়ীদুর রহমান বাকি, আইন বিভাগের অমিত হাসান রক্তিম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রাকিব হাসান রনি, রসায়ন বিভাগের সাইমুন ইসলাম,সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আলীম সালেহী, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মো. শাহরিয়ার হোসেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের মাহামুদুল হাসান আদনানকে।
এছাড়া এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগের ইরফান আহমেদ রাজ, মার্কেটিং বিভাগের আয়াত উল্লাহ, ব্যাবস্থাপনা বিভাগের আসিফ বিল্লাহ, বাংলা বিভাগের সাব্বির হোসেন,মার্কেটিং বিভাগের সালাউদ্দীন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের মিকাদুল রহমান ফিদা, বাংলা বিভাগের মোঃ আরাফাত এবং সিএসই বিভাগের মো. শওকত হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ওই হামলায় ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা যায়। এর মধ্যে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আয়াত উল্লাহ এবং মোঃ সালাউদ্দীনের আঘাত ছিল গুরুতর। এই দুই শিক্ষার্থী এখনো বরিশালের শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত রয়েছে।