পদত্যাগ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ও প্রক্টর। তবে পদত্যাগের দুই ঘন্টা আগেওস্বপদে বহাল থাকতে শিক্ষকদের সহায়তা চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ-নিজ পদ থেকে পদত্যাগ করেন উপাচার্য ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, প্রক্টর ড. মো. আবদুল কাইয়ুম এবং সহকারী প্রক্টর ড. মাহফুজ আলম।
এর আগে গতকাল সোমবার আন্দোলন করে ভিসি এবং প্রক্টরকে পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা৷ পরবর্তীতে মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে পদত্যাগ করেন তারা৷ তবে উপাচার্যকে স্বপদে বহাল রাখতে সকালে মানববন্ধন করেন একদল শিক্ষার্থী।
মানববন্ধনের খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ভিসি - প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে পাল্টা সমাবেশ
করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ। উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জুম মিটিং আহ্বান করেন উপাচার্য।
মিটিংয়ে উপস্থিত ৩ জন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সভায় শিক্ষকদের কারো মধ্যে তাকে নিয়ে কোনো ক্ষোভ আছে কিনা তা জানতে চান উপাচার্য। কেউ এ বিষয়ে কোনো কথা না বললে তিনি সবারকাছে ক্ষমা চান।
এ সময় তিনি সাবেক এক প্রক্টরসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অনেকে আমাকে স্বপদে বহাল চায়। আমি যোগদানের পর থেকেই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করেছি। আপনারা সিনিয়র যারা আছেন, তারা যদি একটু সবাইকে বুঝিয়ে বলেন তবে আমার বিরুদ্ধে যারা মাঠে নেমেছে তারা ফিরে যাবে।’
তবে শিক্ষকদের কয়েকজন উপাচার্যকে সার্বিক বিষয় বুঝিয়ে বলে এই মুহূর্তে আর পদ আঁকড়ে থাকা উচিত হবে না বলে পরামর্শ দেন। এমনটাই দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা।
উপাচার্যে পদত্যাগের বিষয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল সভাপতি রেজা শরীফ বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার দোসর ছিলেন সদ্য সাবেক ভিসি এবং তার প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন দমনে এমন কোনো পদক্ষেপ নেই যা তারা গ্রহণ করেননি। তাই শিক্ষার্থীরাই তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন।