চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ২৪ হাজার ২৬৫টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন বরিশাল বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা। গত ২২ অক্টোবর ফল পুনর্নিরীক্ষা বা খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়। ১৩ বা ১৪ নভেম্বরের মধ্যে খাতা চ্যালেঞ্জের ফল প্রকাশ করা হবে।
রোববার বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর অরুণ কুমার গাইন জানান, এবছর মোট ২৪ হাজার ২৬৫টি খাতা পুনঃনীরিক্ষণের আবেদন জমা পরেছে। মূল্যায়ন শেষে আগামী ১৪ নভেম্বর ফলাফল প্রকাশ করা হবে। গতবছর আবেদন ছিলো ৩০ হাজার ৭৫৯ টি। সে তুলনায় এবার খাতা চ্যালেঞ্জ কম করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বরিশালে শিক্ষাবোর্ডে চলতি বছরে এইচএসসি (উচ্চমাধ্যমিক) পরীক্ষায় পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এবছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১৬৭ জন শিক্ষার্থী।
গতবছরের চেয়ে এবার ১ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী বেশি পাস করেছে বরিশালে। একইসাথে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে। গতবছর এই সংখ্যা ছিলো ৩ হাজার ৯৯৩ জন।
এ বছর বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন মোট ৬৭ হাজার ১১৪ জন৷ বিভাগে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ঝালকাঠি জেলা। প্রতিবারের মতো এবারও এ শিক্ষা বোর্ডে ফলাফলে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা পাস ও জিপিএ’র হারে এগিয়ে। গত বছর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৬৫। আর এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে ১৭৪টি।
চলতি বছরে এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষায় ৭ বিষয়ে নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হলেও ১৩ বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ ১৩ বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল মূল্যায়ন করা হয়েছে। তারপরও কপাল পুড়লো বরিশালের ১৩ হাজার ২৫ জন শিক্ষার্থীর। কারণ পরীক্ষাগুলোতে এবার অনুপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ২৭ জন আর বহিষ্কার হন ৩৩ জন।
নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে কিংবা বহিষ্কার হলে সামগ্রিক ফলাফল অকৃতকার্য আসে। পরীক্ষার মাধ্যমে যে সাতটি বিষয়ের ফলাফল তৈরি করা হয়েছে, সেখানে ফেল করেছেন ১১ হাজার ৯৬৫ জন। এ বছর কোনো কলেজে শতভাগ ফেল না থাকলেও ২১টি প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শতভাগ রয়েছে।
এর আগে, ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ১১টি শিক্ষাবোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
প্রকাশিত ফলে কারো প্রত্যাশিত ফল না এলে তাকে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বা উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষা বোর্ডগুলো। গত ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এ কার্যক্রম চলে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত।