বাংলাদেশের ৩০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিতে চায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তি দিতে চায় দেশটি। পাকিস্তান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আওতায় পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এসব বৃত্তি দেবে। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে।
দেশটির গণমাধ্যম ডন–এর খবরে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কনসোর্টিয়ামের এক সভায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অর্থায়নে বৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে বাংলাদেশি ৩০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়ার প্রস্তাব তোলা হয়। কীভাবে বৃত্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, এ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলা।
দেশটির শিক্ষাসচিব মহিউদ্দীন আহমদ ওয়ানির সভাপতিত্বে বৈঠকে উচ্চশিক্ষা কমিশনের (এইচইসি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জিয়াউল কাইয়ুম, বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাইকমিশনের একজন সদস্য, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকৌশল, মৌলিক ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য, সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও কলা শাখায় বাংলাদেশিদের বৃত্তি দেওয়া হবে। স্থাপত্য, চারুকলা, ব্যবসায় শিক্ষা, কম্পিউটারবিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষিবিজ্ঞান, মিডিয়া ও গণযোগাযোগ অধ্যয়ন এবং ভাষা বিষয়ের শিক্ষার্থীরা পাবেন এসব বৃত্তি।
পাকিস্তানের শিক্ষাসচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশে এই উদ্যোগের সর্বাধিক প্রচারের জন্য শিক্ষাএক্সপো, সেমিনার এবং রোড শো করার পরামর্শ দেন। তিনি এই বৃত্তিগুলোর জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল চালুর পরামর্শ দেন।
সভায় আঞ্চলিক সম্প্রীতি ও সদিচ্ছার ইঙ্গিতকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে শিক্ষাগত কূটনীতির গুরুত্ব তুলে ধরে এইচইসি নির্বাহী পরিচালক পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের প্রাসঙ্গিক ফোরামের স্কলারশিপের বরাদ্দ অনুমোদন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তা করতে আহ্বান জানান।
কনসোর্টিয়ামের মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি ইসলামাবাদ, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি, কমস্যাটস ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজেস, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব কম্পিউটার অ্যান্ড এমার্জিং সায়েন্স, ইসলামাবাদ, লাহোর ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস, ন্যাশনাল কলেজ অব আর্টস, লাহোর, পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন, লাহোর; লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়, সুপিরিয়র বিশ্ববিদ্যালয়, লাহোর; জাতীয় টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, ফয়সালাবাদ; আগা খান ইউনিভার্সিটি, করাচি এবং গুলাম ইসহাক খান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি।