প্রচলিত সকল আইন একত্রে হালনাগাদ করে ‘বাংলাদেশ কোড’ প্রকাশ করা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে মোট ৪৭ খণ্ডে এটা প্রকাশ করা হয়। সোমবার মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকের আগে বাংলাদেশ কোড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
লালসবুজের রঙ্গের মলাটে বাংলাদেশ কোডে এক হাজার ১৭৭টি প্রণীত আইন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উন্নয়ন কর্মের বড় অংশ হিসেবে এটা প্রকাশ করা হলো।
বাংলাদেশ লজ রিভিশন অ্যন্ড ডিক্লেয়ারেশন অ্যাক্ট-১৯৭৩ এর ৬ ধারা অনুসারে প্রচলিত সব আইন হালনাগাদ করে বাংলাদেশ কোড আকারে প্রকাশের আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে সংশোধনী আইন, রহিতকৃত আইন এবং নতুন প্রণয়ন করা আইন বাংলাদেশ কোডে ক্ষেত্রমতে অন্তর্ভুক্ত, সংশোধন ও বিয়োজন করা হয়েছে।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ন সচিব কাজী আরিফুজ্জামানকে প্রচলিত সব আইন হালনাগাদ করে বাংলাদেশ কোড আকারে প্রকাশের জন্য সার্বিক দায়িত্ব দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে লেজিসলেটিভ বিভাগের ওই কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ টিম চলতি বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিদ্যমান সব আইন একত্রিত করে ৪৭ খণ্ডে বাংলাদেশ কোড প্রকাশের কাজ সম্প্রতি শেষ করে।
৫০০ পৃষ্ঠার প্রতিটি বইয়ের প্রচ্ছদ করা হয়েছে জাতীয় পতাকা ও স্বাধীনতার প্রতীক লালসবুজের সমন্বয়ে। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে হালনাগদ করা বাংলাদেশ কোড প্রকাশিত হয়েছিল। ওই প্রকাশনায় ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের জুন পর্যন্ত হালনাগাদ করা ছিল। ওই সময় ইউএনডিপির একটি প্রকল্পের সহায়তায় বাংলাদেশ কোড ৪২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়।