দৈনিক শিক্ষাডটকম, চবি : স্বপ্ন দেখতেন একদিন বিসিএস ক্যাডার হবেন। বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবেন। ছিলেন প্রচণ্ড পরিশ্রমী ও মেধাবী শিক্ষার্থী। গ্রামের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র হওয়ায় সাধারণ মানুষেরও স্বপ্ন ছিল তাকে ঘিরে। কিন্তু মর্মান্তিক বাইক দুর্ঘটনায় নিমিষেই সব শেষ।
গতকাল শুক্রবার ভোরে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইংরেজি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী আল আমিন।
আল-আমিনের বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার কর্ণপাড়া গ্রামে। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের পরিবারে একমাত্র আল আমিনেরই সুযোগ হয়েছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।
জানা যায়, স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি গিয়েছিলেন আল আমিন। গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে বড় ভাই নয়ন তালুকদারের মোটরসাইকেলে এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। বড় ভাই কিছুদিন আগেই বাইক চালানো শিখেছিলেন। হঠাৎ করেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে আহত হন আল-আমিন।
পরে ওইদিনই সন্ধ্যার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। অবস্থার অবনতি দেখে রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে রাত ২টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অপারেশন শেষে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দুইদিন পর শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আল আমিনের বড় ভাই নয়ন তালুকদার জানান, তার বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। মূলত মাথায় আঘাত পায় সে। হাসপাতালে নেয়ার পর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ দেখে ওইদিনই অস্ত্রোপচার করা হয়। দুই দিন সেখানে থাকার পর শুক্রবার ভোরের দিকে মারা যায় সে। বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে আল আমিনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই আমিনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।