পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়।
কয়েকশত শিক্ষার্থী ব্যানার ও বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন নিয়ে কালাইয়া বন্দর ঘুরে ৬ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গিয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
এ সময় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বাউফল সরকারি কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
ফলে কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে বাউফল পৌরএলাকা। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজি বরাবর একটি স্মরকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপজেলার কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিন কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই বিদ্যালয়ের মূল ফটকের পাশের দেয়াল ভেঙে দোকান ঘর তৈরি করে সেগুলো ভাড়া দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ছাদে ডিস লাইন স্থাপন করা হয়েছে। সেই লাইনে বিদ্যুতায়িত হয়ে গত বছর ১২ মে দশম শ্রেণির বিল্লাল হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী মারা যাওয়ার ঘটনায় কোনো বিচার পায়নি নিহতের পরিবার।
এ ছাড়ও তার বিরুদ্ধে রযেছে জোর করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়সহ বিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি শিরিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজি বলেন, শিক্ষার্থীর স্মারকলিপি পেয়েছি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।