দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বুধবার ‘কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার পদ্মশ্রী পদক প্রাপ্তি: আমাদের অনুভূতি’ শীর্ষক এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাউবির গাজীপুরস্থ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, সংগীত অত্যন্ত শক্তিশালী এক মাধ্যম। জীবনকে স্বচ্ছ, সত্য, উদ্ভাসিত, ছন্দময় করতে সংগীতের বিকল্প নেই। সংগীতের শক্তির কারণেই আজকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে বিরল এই সম্মাননা দিয়েছে। আমি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরো বলেন, যে কোনো সম্মাননা কাজের প্রতি আস্থা, ভালবাসা ও দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। আমি মনে করি, যে সম্মাননাটা দেয়া হয়েছে তাতে আমি একটা উপলক্ষ্য। এই সম্মাননা সমগ্র বাংলাদেশের। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যে সম্পর্ক সেটি ঐতিহাসিক, অনেক পুরোনো। মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে সেই সম্পর্ক চলমান। সেই বন্ধুত্ব এবং সম্পর্কের নিদর্শন সংস্কৃতির নানা অঙ্গনে বহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাউবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বাংলাদেশের সংগীত জগৎকে একটি অনন্য, উচ্চ স্তরে নিয়ে গেছেন। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীসহ শত প্রতিকুলতা এড়িয়ে বন্যার টিকে থাকার সংগ্রাম সব সময় শান্তিময় ও প্রতিবাদ মুখর হয়েছে সৃজনশীলতার মধ্য দিয়ে। দেশের সম্মানকে এগিয়ে নিতে তিনি আরো উদ্দীপ্ত ও দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
সমাপনী ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন বলেন, কিংবদন্তী এই সংগীতজ্ঞের কাছে আমরা একটি শিশির বিন্দু মাত্র। সুরের ধারার সাথে আমাদের আজকের সম্মিলনে সেই শিশির বিন্দু অন্তত একটি সুশীতল নদীর জন্ম দিবে এই প্রত্যাশা করছি।
পরে বাউবির ওপেন স্কুলে সংগীত বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স চালুকরণে বাউবির রেজিস্ট্রার ড. মহা. শফিকুল আলম ও সুরের ধারা পক্ষ থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করেন।