দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : ‘বাজেট’ কথাটির সঙ্গে কম-বেশি আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু বাজেট কী বা কত প্রকার, সেটা সম্পর্কে আমরা অনেকেই খুব বেশি জানি না। এক কথায় বললে, বাজেট হচ্ছে একটি দেশের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের হিসাব। সরকারকে দেশ চালাতে হয়, সরকারের হয়ে যারা কাজ করেন, তাদের বেতন দিতে হয়, আবার নাগরিকদের উন্নয়নের জন্য রাস্তাঘাট বানানোসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নিতে হয়। একটি নির্দিষ্ট অর্থবছরে কোথায় কত ব্যয় হবে, সেই পরিকল্পনার নামই বাজেট।
বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।
সাধারণত একজন মানুষকেও কিন্তু আয় ও ব্যয়ের হিসাব করে জীবন জীবিকা চালাতে হয়। তবে ব্যক্তির সঙ্গে রাষ্ট্রের বাজেটের একটি মৌলিক পার্থক্য আছে। সাধারণত ব্যক্তি আগে আয় কত হবে, সেটি ঠিক করেন, তারপর ব্যয়ের খাতগুলো নির্ধারণ করেন।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রের নীতি উল্টো। রাষ্ট্র আগে ব্যয়ের খাতগুলো নির্ধারণ করে তার কোন কোন খাত থেকে আয় করা যায় সেটি ঠিক করে থাকে।
সম্প্রতি বাজেট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি জরিপ চালায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি। ওই জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ৬৪ শতাংশই বলেছেন আগামী বাজেট নিয়ে তারা নতুন কিছু প্রত্যাশা করেন না।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত। যে কারণে তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছার প্রতিফলন বাজেটে দেখা যায় না।
এত ঘটা করে বাজেট প্রকাশ করা হচ্ছে, তারপরও কেন সাধারণ মানুষ কেন এটি নিয়ে আগ্রহ পাচ্ছে না এ প্রশ্ন ছিল অর্থনীতিবিদদের কাছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রতি বছর মানুষ কর দিচ্ছে। করের টাকায় সরকারের ব্যয় নির্বাহ হচ্ছে। কিন্তু এর বিনিময়ে তারা যখন সুফল পাচ্ছে না, তখন বাজেট আসলেও তারা খুব একটা আগ্রহ দেখান না।
তবে জরিপে মতামত দানকারীরা কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও সমাজিক সুরক্ষার মতো বিষয়গুলোর ওপর জোর দিয়েছিলেন।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজেটে সরকারের মূল লক্ষ্য থাকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কতটা অর্জিত হবে? কীভাবে সহনীয় পর্যায়ে রাখা যাবে, বাজেট ঘাটতি কীভাবে কমিয়ে আনা যাবে এবং দারিদ্র্য বিমোচন কীভাবে সম্ভব হবে।