দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: দুই বেয়াই সড়কে হেঁটে বিক্রি করেন বাদাম। এই বাদাম বিক্রির আড়ালে চলে ভিন্ন বাণিজ্য। বাদাম কিনতে আসা লোকজন তাদের ক্রেতা নয়। মূল ক্রেতা ঠোঙার ভেতরে থাকা গাঁজা কিনতে আসা লোকজন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। তেজগাঁও থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তারা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে তেজকুনীপাড়ার একটি বাসা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেসময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। গতকাল শুক্রবার তেজগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আব্দুল আজিজ (২৮) ও রমজান আলী (৪৫)। তাদের সহযোগী হচ্ছেন আজিজের চাচা মো. সাহিদুল ওরফে জাহিদুল ইসলাম (৩০)।
তিনি আরও জানান, আজিজ ও জাহিদুল সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা এবং রমজান ও আজিজ বেয়াই। তারা বাদামের ঠোঙার মতো প্যাকেট করে করে গাঁজা বিক্রি করতেন।
ওসি জানান, গ্রেপ্তাররা তেজগাঁওয়ের চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। আজিজের বিরুদ্ধে ২৮টি, রমজানের বিরুদ্ধে ৭টি এবং জাহিদুলের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা আছে। তারা তেজকুনিপাড়ায় ভাড়া বাসায় থেকে গাঁজার ব্যবসা করতেন। মাদক ক্রেতা-বিক্রেতা সবার কাছে বাসাটি ‘গাঁজার আড়ত’ নামেই পরিচিত। খুচরা বিক্রেতারাও তাদের থেকে মাদক কেনেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে বাসাটিতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে আনুমানিক ২ কেজি ওজনের ১ হাজার পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়।