মাগুরা শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে গতকাল বুধবার মধ্যরাতে গৃহবধূ রুমি খাতুন একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালজুড়ে সেই আনন্দ মুহূর্তে যেন তীব্র বেদনার স্মারক হয়ে ওঠে। এই নবজাতককে কোলে নিয়ে কতই না খুশি হতেন তার বাবা মেহেদী হাসান রাব্বি। কিন্তু তিনি আজ আর নেই। চার মাস আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।
রাব্বির স্বজন শফিকুল ইসলাম বলেন, মা ও কন্যা দুজনই ভালো আছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
গত আগস্ট মাসে রুমি খাতুন তখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। স্বামী হারানোর শোক নিয়ে সে সময় তিনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ চার মাস পর সন্তানের মুখ দেখে তাঁর মুখে ছিল বেদনা ও আনন্দের মিশ্রণ।
মেহেদী হাসান রাব্বি মাগুরা পারনান্দুয়ালীসংলগ্ন বরুনাতৈল এলাকার মইন উদ্দিনের ছেলে। তিনি ছিলেন মাগুরা জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মাগুরা পারনান্দুয়ালী উপশহরের ব্রিজ এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে তিনি নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহত রাব্বির ভাই ইউনিস আলী ১৩ আগস্ট মাগুরা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় মাগুরা আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদেরসহ ১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। তবে দীর্ঘ চার মাসেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।