দৈনিক শিক্ষাডটকম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : দুই বছর আগে ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিজ কলেজের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ওই সময় ধারণ করা ভিডিও এবং ছবি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কলেজের শিক্ষক পরিষদের জরুরি সভায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ও রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আব্দুর রউফ বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরো বলেন, কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব না করে তদন্তে যা পাওয়া যাবে, কলেজ কর্তৃপক্ষকে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে।
কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবার কৌশলে মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল খালেক চৌধুরী ডলার। এরপর বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় ব্ল্যাকমেইল করে করা হয় নির্যাতন। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বারবার প্রস্তাব দেন শারীরিক সম্পর্কের। পরবর্তীতে রাজি না হয়ে ঘটনা প্রকাশের হুঁশিয়ারি দিলে দেয়া হয় প্রাণনাশের হুমকি।
এদিকে ওই শিক্ষার্থী ‘ধর্ষণের শিকার’ হওয়ার কথা জানিয়ে গত রোববার আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে স্ট্যাটাসও দেন। তার দাবি, এসব ঘটনার ধামাচাপা দিতে নগদ তিন লাখ টাকা দিয়ে লোক পাঠিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। তাতেও রাজি না হওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে তাকে ও তার পরিবারকে। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার কথা বলেন।’
কলেজছাত্রীর দাবি, সে ক্লাসে গেলে তাকে কলেজের পিয়নের মাধ্যমে ডেকে পাঠাতেন ওই শিক্ষক। এরপর ফোন নিয়ে তার সঙ্গের আলাপ ও কল রেকর্ড মুছে দিয়েছেন।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন। এ সময় দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আসে কর্মসূচি থেকে।
তবে অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক আব্দুল খালেক চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাকে বিতর্কিত ও এখান থেকে চাকুরিচ্যুত করতে একটি কুচক্রী মহল কাজ করছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।