তফসিল অনুযায়ী বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রথমদিনের ভোট শুরু হলেও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বাধার মুখে তা আপাতত বন্ধ রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ বন্ধ।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ৮টার আগে থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য জড়ো হতে থাকেন আইনজীবীরা। এর মধ্যে সরকার সমর্থক
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আমাদের বাধা দেন। আপাতত ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। তাদের দাবি নির্বাচন কমিশন ঠিক না হলে তারা ভোট হতে দেবেন না। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তারা। এতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল বলেন, সাধারণ আইনজীবীদের চাপের মুখে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। আমাদের দাবি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন না হওয়া পর্যন্ত এ নির্বাচন হতে পারে না।
ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পক্ষ থেকে ব্যালট পেপার ছেঁড়ার ঘটনার পর থেকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ৫ শতাধিক (৩০ প্লাটুন) পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বারের আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি স্লোগান ও ব্যালট পেপার ছেঁড়ার ঘটনা পরিদর্শনে মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন যান পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া। এ সময় সঙ্গে ছিলেন এডিসি মিনহাজুল ইসলাম ও কর্মকর্তা (ওসি)।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকালে নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ডিএমপি, এপিবিএন সদস্যসহ ৫ শতাধিক (৩০ প্লাটুন) পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর রয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনসুরুল হক চৌধুরীর পদত্যাগপত্র, নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) দিনভর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মিছিল স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। পাল্টাপাল্টি নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটি ঘোষণা করে উভয়পক্ষ। এর একপর্যায়ে ভোটের ব্যালট পেপার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, ব্যারিস্টার খোকন ও কাজলের নেতৃত্বে ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়েছে। অপরদিকে, বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অভিযোগ, রাতেই ব্যালট পেপার সিল মারা হয়েছে।