দেশের ১৪ জেলায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ২০ হাজার কারুশিল্পীকে বিকাশের মাধ্যমে মজুরি বিতরণ করবে আড়ংয়ের কারুশিল্প উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন। এসব কারুশিল্পীরা যাদের অধিকাংশই নারী। ফলে, প্রতি মাসের মজুরি ঘরে বসেই সরাসরি তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবেন কোনো ঝামেলা ছাড়াই।
বিকাশের মাধ্যমে ডিজিটাল মজুরি বিতরণ, ফাউন্ডেশনের মজুরি ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলবে। বিকাশ অ্যাকাউন্টে মজুরি পাওয়ার পর, কারুশিল্পীরা বিকাশের অন্যান্য সুবিধা যেমন মোবাইল রিচার্জ, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শপ পেমেন্ট এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ ও সঞ্চয় স্কিমসহ বিভিন্ন পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। তাছাড়া, বিকাশ প্রিয় এজেন্ট থেকে তাদের মজুরি বিনা খরচে ক্যাশ-আউট করতে পারবেন তারা। এর ফলে, কারুশিল্পীরা, যাদের বেশির ভাগই নারী, নিজেদের আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরো ক্ষমতাবান হবেন এবং দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা উপভোগ করবেন।
সম্প্রতি রাজধানীর আড়ং সেন্টারে বিকাশ ও আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের মধ্যে এ সম্পর্কিত চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের প্রধান ডি. শশীকুমার এবং বিকাশের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর ও আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন তামারা হাসান আবেদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ব্র্যাকের একজন কর্মী এবং এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্ত্রী প্রয়াত আয়েশা আবেদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন। বর্তমানে সারাদেশে আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের ১৫টি প্রধান কেন্দ্র এবং ৭০০টি উপকেন্দ্র রয়েছে।