এক শিক্ষককের যোগসাজেশে কেজি দরে সরকারি বই বিক্রি করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। বই ডেলিভারির জন্য বেছে নিয়েছিলেন সরকারি ছুটির দিন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পিকআপ ভর্তি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ওই বইগুলো আটক করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ১৩ নম্বর চর বেতাগৈর ইউনিয়নে আনওয়ারুল হোসেন খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও সহকারী শিক্ষক নাজিমুদ্দিন ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির সরকারি বই কেজি দরে বিক্রি করেছেন। বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির দিনে পিকআপ ভর্তি করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এসময় স্থানীয় আনসার কমান্ডার কাজিমুদ্দিনের সহযোগিতায় এলাকাবাসী ওই সব বই আটক করেছে। গাড়ি ভর্তি করে বই নিয়ে যেতে চাইলে প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহ হয় বলে জানান আনসার কমান্ডার কাজিমুদ্দিন।
বই বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের সহকারী শিক্ষক নাজিমুদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। স্কুলের বিল্ডিং নষ্ট হওয়ায় বই বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কতো টাকা দরে বই বিক্রি করা হয়েছে তা প্রধান শিক্ষক জানেন।
জানতে চাইলে বই বিক্রির কথা স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, রেজুলেশন করে বই বিক্রি করা হয়েছে। তিনি ষোল হাজার টাকার বই বিক্রির করেছেন। তবে কতো দরে বই বিক্রি করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোফাখখারুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সরকারি বই বিক্রির বিধান নেই। বই উপজেলা সরকারি গুদামে সংরক্ষণ করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে শোকজ করা হবে। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।