তিনি সাবেক একজন শিক্ষামন্ত্রী। তিনিই তদবির করছেন তার আস্থাভাজন একজন দুর্নীতিগ্রস্থ ও বিতর্কিত অধ্যাপককে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের চলতি দায়িত্ব দিতে। সেই অধ্যাপকের রয়েছে রাতের আধাঁরে পাঁচ তারকা হোটেলের সামনে গুলিবিদ্ধ হওয়া এবং সাত বছরেও সেই গুলির রহস্য উন্মোচন না হওয়ার কৃতিত্ব! টাকার বিনিময়ে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়াসহ নানা কৃতিত্ব। নিজ ক্যাডারে ভোট জালিয়াতি করে ও বড় কলেজের অধ্যক্ষদের ক্ষমতাবান কয়েকজনকে দিয়ে ধমকিয়ে ভোট আদায় ও ভোট গণনায় জালিয়াতি করে নেতা হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আরো রয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে প্রদর্শক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ। যে অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানাধীন।
গত বছর এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জাতীয়করণ আন্দোলনচলাকালে উসকানি ও হিংসামূলক বক্তব্য দিয়ে প্রায় ৬ লাখ শিক্ষককে ক্ষুব্ধ করে তোলার অভিযোগ। ব্যাচেলর এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে রয়েছে শিক্ষাখাতে বিশৃঙ্খলা তৈরির আরো শত শত উদাহরণ। তার ক্যাডারেই তিনি স্মরণকালের চরম বিতর্কিত। কিন্তু তাকেই মাউশি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে বসাতে জোর তদবির করছেন সাবেক একজন শিক্ষামন্ত্রী। ইউনিসেফ ঢাকা ও প্লান বাংলাদেশ এনজিওর পরামর্শে শরীফ-শরীফার গল্প পাঠ্যভুক্ত করা ও পাবলিক পরীক্ষার জন্য মূল্যায়ন পদ্ধতি ঠিক না করেই নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরুসহ শত শত অভিযোগের সঙ্গে সেই শিক্ষামন্ত্রীর নাম এখন উচ্চারিত হয় শিক্ষক সমাজসহ সাধারণ অভিভাবকের মুখে মুখে।
জানা যায়, বর্তমানে নিয়মিত মহাপরিচালক পদে রয়েছেন গ্রেড-১ ভুক্ত অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। ইংরেজির এই অধ্যাপকের পিআরিএল-এ যাওয়ার সময় আগামী সপ্তাহ। ঈদের বন্ধের কারনে যদিও তার শেষ কর্মদিবস ৯ এপ্রিল। তবে, এই মহাপরিচালককে উপরের নির্দেশে আরও এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে। কিন্তু সাবেক এক শিক্ষামন্ত্রীর তদবিরে মাঝপথে থেমে রয়েছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের উদ্যোগ। এমনটাই বলাবলি হচ্ছে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মহলে।