করোনা মহামারির পর ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া অন্যায্য আগ্রাসন সারাবিশ্বকে টালমাটাল করে দিয়েছে। পুতিনের একগুঁয়েমির কারণে একবছরের বেশি সময় ধরে রাশিয়া ইউক্রেনের মানুষদের ওপর হামলা, অত্যাচার, নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। এক কথায় সারা দুনিয়া থেকে রাশিয়া বিছিন্ন হয়ে গেছে। রাশিয়ার ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশ অর্থনৈতিক অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। ফলে সারা বিশ্বব্যাপী খাদ্যশস্য, জ্বালানি তেল, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবলভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। এসব নানাবিধ কারণে দেশে দেশে অর্থনৈতিক মন্দাসহ ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি এবং ডিলারাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈদেশিক রপ্তানি আয় কমে যাওয়ায় সেসব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশও এর চাপ বহন করতে হচ্ছে। ধীরে ধীরে আমাদের সর্ব্বোচ্চ রিজার্ভ ৪৮.৬ বিলিয়ন থেকে কমে ৩১.১৪ বিলিয়ন ডলারে এসে ঠেকেছে। নিম্নে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
রিজার্ভের আয় খাতগুলো হলো- রপ্তানি আয়, প্রবাসী রেমিট্যান্স, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান ইত্যাদি। রিজার্ভের ব্যয় খাতগুলো হলো- আমদানি দায় পরিশোধ, বিদেশি ঋণের মূল এবং সুদের অর্থ পরিশোধ, অন্যান্য দায়, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাঁদা প্রদান ইত্যাদি।
রিজার্ভের অর্থ ব্যবহারের চিত্র
১। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের অর্থ থেকে ডলারের পাশাপাশি বিদেশি বন্ড, অন্যান্য মুদ্রা ও স্বর্ণে বিনিয়োগ করে রেখেছে। সবচেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে ডলারসহ বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রায়। নিম্নে একটি সারণীতে তা দেখানো হলোঃ
রিজার্ভের অর্থ বিদেশি মুদ্রায় বিনিয়োগের চিত্র
২। রিজার্ভের অর্থ থেকে দেশে ৭০০ কোটি ডলার দিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) গঠন করা হয়েছে।
৩। রিজার্ভের অর্থ থেকে ১০০ কোটি ডলার দিয়ে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কাজ করার এবং বাংলাদেশ বিমানকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বিমান ক্রয়ের জন্য ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
৪। শ্রীলংকাকে ২০ কোটি ডলার ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
রেগুলেটরি বডি হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংকই রিজার্ভের মালিক এবং তা বাংলাদেশ ব্যাংকেরই সম্পদ। একক নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ প্রবাহ প্রসারণ এবং সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দেশের প্রতিটি ব্যাংকেরই নির্দিষ্ট পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ধারণ বা সংরক্ষণ করতে পারে। আবার ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে বিক্রি করতে বাধ্যবাধকতা আছে। আবার সঙ্কটকালে বাংলাদেশ ব্যাংকও সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহ করে বা বিক্রি করে থাকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্ববাজারে পণ্যের দামে তার নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল হয়ে পড়ে। আর বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেরও আমদানি খরচ বেড়ে যায়। রপ্তানি ও প্রবাসী আয় না বেড়ে আরো কমে যায়। ফলে দেশে ডলারের সঙ্কট তৈরি হওয়ায় বাস্কেট মানির মূল্য বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সরকার পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। আমদানি দায় পরিশোধ করতে যেয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ডলার সঙ্কটে পড়ে। এমতাবস্থায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচুর পরিমাণ ডলার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করতে হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রির পরিমাণ ও প্রবৃদ্ধির হার নিচের সারণীতে উল্লেখ করা হলো।
উল্লেখ্য, ডলার সঙ্কটের কারণে জ্বালানি তেল আমদানি কমিয়ে দেয়ায় বিদ্যুৎ খাতে এর বড় প্রভাব পড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর উৎপাদন নির্বিঘ্ন রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি ০২.০৩.২০২৩ তারিখে একটি ল’রিভিউ সার্কুলার (নম্বর-৭১২/২০২৩-১৯৬৮) জারি করেছে। উল্লিখিত সার্কুলার অনুযায়ী, উক্ত কোম্পানিগুলোকে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্তৃক ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ২৬(১) ধারায় বর্ণিত উর্ধ্বসীমা ২৫% এর পরিবর্তে তা কতো হবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক হার নির্ধারণ করে দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মোট এবং প্রকৃত রির্জাভ; দু’ভাগে রিজার্ভের হিসেব সংরক্ষণ করে থাকে। মোট রিজার্ভ হিসাবে সহজে উত্তোলন বা নগদায়ন যোগ্য এবং সহজে উত্তোলন বা নগদায়ন যোগ্য নয়; এমন দু’ধরণের অর্থ হিসাবায়ন করা হয়ে থাকে। আবার প্রকৃত হিসাবে সহজে উত্তোলন বা নগদায়ন যোগ্য অর্থ হিসাবায়ন করা হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু মাত্র মোট রিজার্ভ প্রকাশ করে থাকে। গত ২৭ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে আইএমএফ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআরটিএমডি এবং অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে আলোচনাকালে ঋণ পাবার শর্ত হিসেবে প্রকৃত রিজার্ভ প্রকাশের তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। দেশের বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, গত ৮ মার্চ, ২০২৩ তারিখে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ৩১.১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিগত ৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম (সুত্রঃ দি ডেইলি স্টার ১০ মার্চ, ২০২৩)। এর মধ্যে বিভিন্ন ফান্ডের ৭ বিলিয়ন, পায়রা বন্দর ও বিমানের ১ বিলিয়ন এবং শ্রীলঙ্কাকে প্রদত্ত ০.২ বিলিয়ন সর্বমোট ৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার; যা সহজে নগদায়ন বা উত্তোলন যোগ্য নয়। এক্ষণে, তাহলে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২২.৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ৩৩.৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ডলার–সঙ্কটে ধারাবাহিকভাবে কমছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিয়ত রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। ফলে সামনের দিনগুলোতে রিজার্ভ আরো কমবে। অপরদিকে, আইএমএফ রিজার্ভের প্রকৃত পরিমাণ দেখাতে চাপ দিচ্ছে্। আবার রিজার্ভ কমে যাওয়া ও ব্যবহার নিয়েও রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
রিজার্ভের সঙ্কটের কারণ
১. বৈদেশিক সহায়তার অর্থের ছাড় কমে যাওয়ায় রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়ছে।
২. রিজার্ভের প্রকৃত হিসেব প্রকাশ না করা।
৩. রপ্তানির চেয়ে আমদানি ব্যয় বেশি হওয়া।
৪. ডলার দ্বৈত বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করা।
৫. আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য কাঙ্ক্ষিত বিদেশি বিনিয়োগ না আসা।
৬. বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করা।
৭. দেশের অভ্যন্তরে রিজার্ভের অর্থ ব্যয় করা।
৮. দেশের চুরি হয়ে যাওয়া রিজার্ভের অর্থ উদ্ধার না হওয়া।
৯. অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়ে যাওয়া।
১০. ব্যাংকিং চ্যানেলের পরিবর্তে হুন্ডি বা অন্য মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা দেশে আসা।
১১. বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দ্রব্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিদেশে কর্মরত জনশক্তির আয় কমে যাওয়া।
১২. কিছু কিছু প্রবাসীদের বাংলাদেশে অবস্থিত সম্পদ বিক্রি করে তা বিদেশি মুদ্রায় পরিণত করে নিয়ে যাওয়া।
১৩. বৈদেশিক বাণিজ্যে আমদানি ও রফতানি ক্ষেত্রে ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং করা।
১৪. মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর যথাযথ মনিটরিং, তদারকির ও পরিদর্শনের অভাব।
১৫. ইমিগ্রেশনে বিভিন্ন এন্ট্রি পয়েন্টে বিদেশে গমনকারীদের অনুমোদিত বৈদেশিক মুদ্রার যথাযথ পরিক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনার অভাব।
রিজার্ভের সঙ্কট সমাধানের উপায়
১. বৈদেশিক সহায়তার অর্থের দ্রুত ছাড় করার ব্যবস্থা করতে হবে।
২. আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী রিজার্ভের দু’ধরনের তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
৩. বিলাসী পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যান্য পণ্যও আমদানি কমিয়ে আনতে হবে।
৪. কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ এক দাম নির্ধারণ করতে হবে।
৫. আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হবে।
৬. বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
৭. দেশের অভ্যন্তরে রিজার্ভের অর্থ ব্যয় না করা।
৮. দেশের চুরি হয়ে যাওয়া রিজার্ভের অর্থ উদ্ধারে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৯. বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এধরনের অবৈধ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
১০. ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা দেশে আনার ব্যবস্থা করা।
১১. বিদেশে কর্মরত জনশক্তির বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে দূতাবাসগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা করতে হবে।
১২. প্রবাসীদের বাংলাদেশীদের দেশে অবস্থিত সম্পদ বিক্রি করে অর্থ বিদেশি মুদ্রায় পরিণত করে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা ও সুযোগ যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
১৩. বৈদেশিক বাণিজ্যে আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং বন্ধ করতে হবে।
১৪. মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর যথাযথ মনিটরিং, তদারকির ও পরিদর্শনের নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. ইমিগ্রেশনে বিভিন্ন এন্ট্রি পয়েন্টে বিদেশে গমনকারীদের অনুমোদিত বৈদেশিক মুদ্রার যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট, করোনা মহামারি, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসন বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক মন্দা চরম আকার ধারণ করেছে। এর ফলে বিভিন্ন দেশের রিজার্ভের পরিমাণ দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। দেশে দেশে ব্যাংকসহ বহু আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শ্রমজীবি, চাকুরীজীবি, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ নানান শ্রেণী-পেশার মানুষের আয়-রোজগার ভীষণ কমে গেছে। মানুষের প্রাত্যহিক জীবন তথা জীবনধারণ অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছে। মানুষ সস্তায় চাল, ডাল, আটা, চিনি ও তেল কেনার জন্য ভোর থেকে দুপুর বা বিকেল অবধি টিসিবি’র ট্রাক আগমনের অপেক্ষা থাকতে হচ্ছে। অপেক্ষায় থাকা সব মানুষ যে ট্রাকের পণ্য কিনতে পারছে তা কিন্তু নয়। অনেককেই খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে আপন ঠিকানায়। ভাবলেশহীন মানুষের মুখাবয়ব পাঠ করার মতো শক্তি বা মানসিকতা ক’জনের আছে? কেউ কী তাঁদের নিয়ে ভাবে! না ভাবার প্রয়োজন বা অবকাশ আছে! বড়ো বড়ো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি এবং রিজার্ভের দূর্গতির জন্য সমভাবে দায়ী। তাই সরকারকে রিজার্ভের পরিমাণ উর্ধ্বমুখী করার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে দ্রব্যমূল্য এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
লেখক : শাকিল কালাম, কবি ও কলামিস্ট