দৈনিক শিক্ষাডটকম, নীলফামারী : নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি ময়দান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ দখল করে রাস্তা নির্মাণের উপকরণ রাখায় সপ্তাহজুড়ে মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও মিক্সার মেশিনের বিকট শব্দে ব্যহত হচ্ছে পাঠদান। পোড়া গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কাজ আরও এক সপ্তাহ চলমান থাকবে।
জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাহাগিলী ইউনিয়নে উত্তর দুরাকুটি গ্রামের ময়দান পাড়া থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ২ হাজার ৩শ’ মিটার পাকা রাস্তা সংস্কারের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার ঠিকাদার মোকছেদুল ইসলামকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা সংস্কারের সব উপকরণ মাঠে ফেলে রাখা হয়েছে।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসা. মোবাশ্বিরি আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ে এসে ঘোরাঘুরি ছাড়া আর কী করব? মাঠে খেলার জায়গা নেই। মেশিনের শব্দে শিক্ষকরা ক্লাসে পাঠদান করছেন না। টায়ারপোড়া গন্ধে তো থাকাই যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা তাইজুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ পাশাসহ আরও অনেকে অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক মোটা অর্থের বিনিময়ে ঠিকাদারকে মাঠে নির্মাণসামগ্রী ফেলার অনুমতি দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা গোল্লায় যাক, তাতে কার কী? সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। আগামী এক সপ্তাহ মিক্সার মেশিনের শব্দে পাঠদান চরমভাবে বিঘ্নিত হবে।
তবে প্রধান শিক্ষক এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম অর্থের বিনিময়ে মাঠ দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার আমাকে কোনকিছু না জানিয়ে হঠাৎ স্কুল মাঠে নির্মাণ সামগ্রী ফেলেছে।
বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যান সুজাউদৌল্লা লিপটন জানান, ঠিকাদারকে আমার ফাকা জমিতে নির্মাণ সামগ্রী ফেলার জন্য বলেছিলাম।
উপজেলা প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান বলেন, ঠিকাদার নির্মাণ সামগ্রী কোথায় ফেলবে তা আমার দেখার বিষয় নয়। আমার দায়িত্ব ঠিকাদারের কাছে সঠিক কাজ আদায় করা। ঠিকাদারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার সাইদুর রহমান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, নুর মোহাম্মদ মণ্ডল বলেন, এ ঘটনায় ঐ প্রধান শিক্ষককে জবাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।