নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবিলী ইউনিয়নের হাবিব উল্লাহ পন্ডিত মিয়ার হাট উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার সব উত্তরপত্র, বিদ্যালয়ের তিনটি দলিলসহ অন্যান্য কাগজপত্র ও আসবাব পুড়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এ ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী সোহেল জানান, রাত ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনের আলমারিতে আগুন দেখতে পেয়ে তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তিনি দেখেন অফিস কক্ষের উত্তর পাশের জানালার কাচ ভাঙা। জানালার কাচ ভেঙে কোনো দাহ্য পদার্থ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নৈশপ্রহরী আরও জানান, আগুন জ্বলার সময় স্কুলের উত্তর পাশে কিছু দুষ্কৃতকারীকে তিনি দেখতে পেয়েছেন। তবে অন্ধকারে কাউকে চিনতে পারেননি।
স্কুল কর্তৃপক্ষের করা জিডিতে সন্দেহভাজন কারও নাম উল্লেখ করা না হলেও নৈশপ্রহরী সোহেল বলেন, কিছুদিন আগে বিদ্যালয় ভবনে আড্ডা দেয়া স্থানীয় বখাটেদের তিনি বের হয়ে যেতে বলেছিলেন। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। তারা এ কাজ করতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরঞ্জন চন্দ্র দাস বলেন, স্কুলের প্রয়োজনীয় কাগজ ও আসবাব ছাড়াও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার সব উত্তরপত্র পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় তিনি
থানায় জিডি করেছেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবার ২৬ শিক্ষার্থী এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এ পর্যন্ত তিন বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে। তিন বিষয়ের উত্তরপত্রই পুড়ে গেছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য শামসুদ্দিন মিয়া বলেন, এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। বিদ্যালয়ের সঙ্গে
কারও শত্রুতা থাকতে পারে না।
সুবর্ণচর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ নুরুন নবী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে স্কুলের অফিস কক্ষে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আসবাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, স্কুলে আগুন দেয়ার ঘটনায় প্রধান শিক্ষক একটি জিডি করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।