বাংলাদেশ নিজেদের প্রয়োজনে যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে সক্ষমতা অর্জন করায় গর্বিত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নবনির্মিত নৌবাহিনী ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা, চারটি পেট্রোল ক্রাফট ও চারটি ল্যানডিং ক্রাফট ইউটিলিটি-এলসিইউ কমিশনিং করে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল ঘাঁটির অধিনায়ক ও জাহাজের কমান্ডার হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমি গর্বিত যে আজকে আমরাই, আমাদের দেশে আমাদের নৌবাহিনীর জন্য জাহাজ নির্মানে সক্ষমতা অর্জন করেছি। বাংলাদেশ নৌবাহিনী বায়ার নেভি থেকে বিল্ডার নেভিতে পরিণত হয়েছে। আমরা চাই আমাদের দেশ আরো এগিয়ে যাক। আমাদের নৌবাহিনী এখন অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নেয়া নানা উদ্যোগ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌবহরে এভিয়েশন ও সাবমেরিন সংযোজন করেছি। নৌ বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক যুদ্ধ জাহাজ, হেলিকপ্টার ও টহলবিমান সম্বৃদ্ধ নেভাল এভিয়েশন, বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াট। সমুদ্রে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে একাধিক যুদ্ধ জাহাজ, হেলিকপ্টার সহ সরঞ্জামাদি ক্রয় ও নির্মানের কার্যক্রম চলমান আছে।’
বাংলাদেশ কারো সাথে যুদ্ধ চায় না তবে সার্বভৌমত্ব যাতে সুরক্ষিত থাকে সেদিকে নজর দিতে নৌ বাহিনী সদস্যদের নির্দেশ দেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘আর সেই কারণে আমরা আমাদের নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীকে সার্বিকভাবে উন্নত সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছি, যেন আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন ও দক্ষ হয়ে ওঠে। সেদিকে আমরা বিশেষ ভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি।’
বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটি এবং নৌবাহিনীর আটটি জাহাজের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, এই ঘাঁটি এবং জাহাজসমূহ নিজ নিজ অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি পায়রা সমুদ্রবন্দরের নিরাপত্তা, দেশি-বিদেশি জাহাজসমূহ নিরাপদে সমুদ্রপথে চলাচল, উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বিধান, চোরাচালান প্রতিরোধ, অনুপ্রবেশের মাধ্যমে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধ এবং বিভিন্ন দুর্যোগে উপকূলীয় মানুষকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।’