এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজে নিবন্ধিত প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। নিয়ম অনুযায়ী কিছুদিন আগে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে চুড়ান্ত সুপারিশ করেছে তারা। সেখানে মোটামুটি ভালো নম্বর (১০০ এর মধ্যে ৪৫-৪৮) পেয়েও চাকরি হয়ে গেছে প্রার্থীদের। পরবর্তী গণবিজ্ঞপ্তি হওয়ার কথা ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর৷ এ মাসের শেষেই ফল প্রকাশের কথা। কিন্তু এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, অপেক্ষাকৃত কম নম্বর পাওয়া একদম দুর্বলদের শিক্ষক বানাতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি দিতে চাচ্ছে এনটিআরসিএ, যা একদমই নিয়মবহির্ভূত।
পূর্বের গণবিজ্ঞপ্তিগুলোর মাধ্যমে নিবন্ধিত ভালো নম্বরধারী মেধাবীরা নিয়োগ পেয়ে গেছে। এমনকি ৪৫ নম্বরেও চাকরি হয়েছে। যারা বাদ পড়েছে তারা নম্বরে একদমই পিছিয়ে। বারবার সুযোগ পাওয়ার পরও যাদের নম্বর একদমই কম থাকায় যারা সুরারিশপ্রাপ্ত হতে পারেনি তাদের বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সুযোগ দেয়া মানেই দুর্বলদের শিক্ষকতায় আসার সুযোগ করে দেয়া। তাড়াহুড়ো করে তাদের নিয়োগ দিলে একদম দুর্বলরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক হয়ে আসবেন। মেধায় দুর্বলদের শিক্ষক বানানো মানেই আগামীর জাতিকে দুর্বল বানানো।
এভাবে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে ছাত্রসমাজে অসন্তোষ দেখা দেবে, আন্দোলন হলে দুষ্কৃতকারীরা সুযোগ নিতে চাইবে। দেশের এ পরিস্থিতিতে ছাত্রদের আন্দোলনের সুযোগ করে দেয়া কিছুতেই ঠিক হবে না। ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি হয়েছে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে, সে হিসেবে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি হওয়ার কথা ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে কিন্তু সে বিজ্ঞপ্তি হয়েছে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের শেষে, প্রায় এক বছর শেষ হতে চললো তবুও ১৮তম এর কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। মুলত এনটিআরসিএ একটি ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান। কারণ, তারা শিক্ষক সংকট দুর করতে পারেনি, তাদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এ ‘বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি’ দিতে চাচ্ছে। স্বৈরাচারের কোনো দোসর ছাত্রদের আন্দোলনে নামিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
এনটিআরসিএ বলেছিলো, এ মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশ হবে। তাহলে মাত্র ১ মাসের জন্য এতো তাড়াহুড়ো কেনো? সমস্যার সমাধানে দ্রুত ১৮তম এর ফল ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হোক।
লেখক: শিক্ষক
(মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন)