দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সেবা দেয়ার পদ্ধতি স্মার্ট করে সেবা গ্রহীতা তথা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
রোববার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে অনুষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের সিটিজেন চার্টার হালনাগাদ নিয়ে বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। স্মার্ট জাতি গঠনে ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবাগুলো ডিজিটালাইজড করা এবং সেবা প্রক্রিয়া আরো সহজ করা জরুরি। জনগণ উচ্চশিক্ষা সেবা নিতে এসে কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার যেনো না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, সেবায় নাগরিকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবাগুলো দ্রুত অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তিনি উচ্চশিক্ষা সেবার তালিকা
, সেবা প্রদান পদ্ধতি, সেবার মূল্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার আহ্বান জানান।
অতিরিক্ত সচিব আফতাব হোসেন প্রামাণিক বলেন, জনগণই রাষ্ট্রের মূল অংশীজন। তিনি সেবা প্রদানকারীকে নাগরিকবান্ধব এবং সেবা প্রত্যাশীর সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণের পরামর্শ দেন। তিনি নাগরিক সেবা ও এর হালনাগাদকরণ এবং সিটিজেন চার্টারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, সেবা প্রদানে পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে এবং চাহিত সেবা সহজে দিতে হবে। কারণ, যথাসময়ে সেবাপ্রাপ্তি নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। সিটিজেন চার্টার প্রণয়ন ও তা যথাযথভাবে অনুসরণ করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
কমিশনের উপপরিচালক ও সিটিজেন চার্টার ফোকাল পয়েন্ট মো. আব্দুল আলীমের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটিজেন চার্টার ফোকাল পয়েন্ট ও বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। কমিশনের সিটিজেন চার্টার বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।