দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনে এরই মধ্যে মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। নিরঙ্কুশ জয় এবং টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের বিশেষ অর্জনের বিষয়টি মাথায় রেখেই নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন এমনটাই মত দিয়েছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এ প্রসঙ্গে বলেন, নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে দক্ষ, যোগ্যদের নিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, যিনি সরকার চালাবেন, তিনিই ভালো জানেন কাদের নিয়ে কীভাবে কাজ করবেন। আমার মনে হয়, তিনি দক্ষ-যোগ্য সহকর্মীই নির্বাচন করেছেন। তবে দপ্তর বণ্টনের পর আরও ভালো যাবে।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় নারী সদস্য আরও বাড়লে ভালো হয়। আমি আশা করব, সরকার সে বিষয়টি দেখবে। এতে করে সরকারের নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়নে সমতা আসবে। বর্তমানে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে সাবেক এই উপাচার্য বলেন, চ্যালেঞ্জ বড় ধরনের বাধা হয় না, যদি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন। দায়িত্বশীলতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর যত চ্যালেঞ্জ আসবে, তত সুযোগ বাড়বে।
সাবেক সচিব ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ হয়েছে। ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, এবার নতুন মন্ত্রিসভার সামনে তিন চ্যালেঞ্জ আছে। এগুলো হলো, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, অর্থনীতিকে ঠেলে সাজানো এবং ভূ-রাজনীতিতে কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা।
শহিদ খান বলেন, পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আগের মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হয়েছে। নতুন যারা হয়েছেন তাদের পারফর্ম করতে হবে। এখন দেশে অর্থনীতিতে সমস্যা আছে, জ্বালানি সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট আরও বড় বড় সমস্যা রয়েছে। এগুলোকে ঠিকমতো চিহ্নিত করে সঠিক পথে সমাধান বের করতে হবে। তিনি বলেন, অতীতে দেখা গেছে মন্ত্রিসভার সবাই একজনের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এতে করে প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ পড়ে যায়। সবাইকে রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যাতে তারা যোগ্য থাকতে পারেন।