ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে ভাঙচুর ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধাদান, আক্রমণ, আঘাতসহ ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটনার অপরাধে শতাধিক বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জনসহ এজাহারনামীয় ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টায় বোয়ালমারী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক কাজী আবুল বাসার বাদি হয়ে এ মামলা করেন। থানা পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন পৌর বিএনপির সহ সভাপতি খান আতাউর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ হোসেন, রফিক বিশ্বাস, বরকত মোল্যা, মারুফ হোসেন, হামিদুল হক, আবু নাসির মোল্যা এবং সিরাজ মৃধা।
এজাহারনামীয় মামলার আসামীরা হলেন, সাবেক সাংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম কামাল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু, মজিবুর রহমান বাবু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মাহাবুবুর রশিদ হেলাল, জাকির হোসেন টিয়াই, পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ আফছার উদ্দিন, সহ সভাপতি খান আতাউর রহমান, স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার সাহাসহ অনেকে।
এজাহারসূত্রে জানা যায়, বিএনপির সাবেক সাংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলামের ইটভাটার সামনে মাইজকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর গত ১ ডিসেম্বর সকালে এজাহারনামীয় আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে টায়ার আগুন ধরিয়ে এবং বোমা বিস্ফোরণ করে রাস্তায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা ওই এলাকাসহ সারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য যানবাহন ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং নাশকতা সৃষ্টি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে। এ সময় পাঁচ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিস ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বোয়ালমারী থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক আক্কাস আলী শেখ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল ওহাব দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।