বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিয়ের দাবিতে স্কুলশিক্ষক নাছিম সেখের (২৬) বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক কলেজছাত্রী (২২)। ওই কলেজছাত্রীর দাবি নাছিম সেখের সঙ্গে তার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
অনশনরত তরুণী সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আর নাছিম সেখ উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের প্রতাব খাদুলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে সরেজমিন জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে ওই তরুণী নাছিম সেখের বাড়িতে আসেন। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীকে ডেকে এনে অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে কলেজছাত্রী নাছিম সেখের বাড়িতে অনশন শুরু করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাছিম সেখ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। প্রায় দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ অবস্থায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কলেজছাত্রীকে বৃহস্পতিবার বাড়িতে ডেকে এনে নাছিম সেখ কৌশলে নিরুদ্দেশ হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। ফাঁদে ফেলে নাছিম তার সঙ্গে গোপনে একাধিকবার সময় কাটিয়েছে। এরপর থেকেই নাছিমকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। বিয়ের কথা বলে বাড়িতে এনে নিরুদ্দেশ ও তার পরিবার এ সম্পর্ক মানতে না চাওয়ায় অনশন শুরু করি। নাছিম বিয়ে না করলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।
এদিকে বাড়ি ছেড়ে পলাতক থাকায় স্কুলশিক্ষক নাছিম সেখের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে নাছিম সেখের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি বাড়িতে ওঠার পর আমার ছেলে ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। তার সন্ধান মিলছে না। তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে কিনা তা বলতে পারছি না। এ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।
ধুনট থানার এসআই হায়দার আলী জানান, এ ঘটনায় নাছিম সেখের বাবা বাদী হয়ে ওই মেয়েটির বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।