ঢাকার দোহারের মৈনটঘাটে পদ্মা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর তারিকুজ্জামান সানির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের এই তারিখ ঠিক করেন।
মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল আজ। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহিরুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য বিচারক নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ জুলাই একসঙ্গে ১৫-১৬ যুবক পদ্মা নদীর মৈনটঘাট এলাকায় ঘুরতে যান। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর নিখোঁজ হন সানি। রাতেই স্থানীয়দের দেওয়া খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দোহার থানা-পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ১৫ জুলাই সকালে সানির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুরতহাল শেষে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওইদিন বিকালে সানির বড় ভাই হাসাদুজ্জামান ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া সানির ১৫ বন্ধুকে।
তারা হলেন– শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।