চিলমারীতে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র পরিবর্তন করতে যাওয়ায় এক চিকিৎসক ও ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মারধর করে বৃদ্ধ রোগীর মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালে গিয়ে ওই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে চিকিৎসককে মুক্ত করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকার মৃত শমছ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো.জাহাঙ্গীর আলম (৬১) ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে গত মঙ্গলবার চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসানের কাছে গেলে চিকিৎসকের সঙ্গে বসে থাকা ঔষধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি, ডাক্তার ও রোগীর মধ্যে বাকবিতণ্ডর সৃষ্টি হয়।
রোগী মো.জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, এক পর্যায়ে চিকিৎসক ও এক বিক্রয় প্রতিনিধি তার কক্ষের দরজা বন্ধ করে তাকে মারধর করতে থাকলে তার মাথা ফেটে যায়।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাসপাতালের ওই চিকিৎসককে একঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে চিকিৎসককে মুক্ত করা হয়।
আহত রোগী জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তিনদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থেকে ডায়ারিয়া আরোগ্য না হওয়ায় চিকিৎসা পরিবর্তনের জন্য ব্যবস্থাপত্র হাতে নিয়ে ডা,মাহমুদুল হাসানের রুমে যাই। সেখানে প্রবেশ করা মাত্র গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস এ কর্মরত প্রতিনিধি আরিফ আমার হাত থেকে কাগজটি কেড়ে নেয়। তিনি কেনো কাগজ কেড়ে নিলেন এমন কথা জানতে চাইলে ডা. হাসান ও আরিফ রুমের দরজা বন্ধ করে কিল-ঘুষি মারে এবং দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে মাথা ফাটিয়ে যায়।
ধস্তাধস্তিতে মাথা ফেটে যাওয়ার কথা স্বীকার করে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা.মাহমুদুল হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, রোগী আমার রুমে আসলে আমার সঙ্গে বসে থাকাদের সঙ্হে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় বাইরে থেকে রোগীর অভিভাবক ক্ষিপ্ত হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আমিনুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি জরুরি একটি মিটিংয়ে ছিলাম। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.রুকুনুজ্জামান শাহীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে বসে বিষয়টি সুরাহা করা হবে।