বেতন পরিশোধ না করায় শিক্ষার্থীদের পেটানোর ঘটনা তদন্ত শুরু - দৈনিকশিক্ষা

বেতন পরিশোধ না করায় শিক্ষার্থীদের পেটানোর ঘটনা তদন্ত শুরু

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বেতন বকেয়া থাকা অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযোগ ওঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম এম ওসমান মডেল স্কুলের নেই সরকারি অনুমোদন। তাই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফৌজদারি আইনে ওই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে গতকাল সোমবার সকালে পৌর এলাকার এম এম ওসমান মডেল স্কুলে বেতন পরিশোধ না করায় শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনা ঘটে।

শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন জানান, প্রতিষ্ঠানটি বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইউএনও স্যার নিজেই তদন্তের বিষয়টি দেখছেন। অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে, প্রতিষ্ঠানটির সরকারি অনুমোদন নেই। তাই অভিযোগের প্রমাণ পেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ফৌজদারী আইনে। 

জানা যায়, ভাঙ্গা থানার পাশে অবস্থিত এম এম ওসমান মডেল স্কুলটির অনুমোদন নেই। দীর্ঘদিন যাবৎ পাঠদানের অন্তরালে কোচিং বাণিজ্য চালানোর অভিযোগ আছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলে সঙ্গে আঁতাত করে ওইসব স্কুলের নামে রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে শিক্ষার্থী পাঠদান করানো হতো। শিক্ষার্থীদের শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে পাস করানোর প্রলোভন দেখিয়ে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার ওসমান। 


 
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গতকাল সোমবার সকালে বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে দেরি হওয়ার অপরাধে  শিক্ষার্থীদেরকে বাঁশের লাঠি, বেত ও পা দিয়ে লাথি মেরে আহত করা হয়। শিক্ষার্থীদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে স্কুল থেকে পালিয়ে যায় শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষ। আহত উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবকরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জালাল উদ্দিনের কাছে লিখিত অভিযোগ নিয়ে হাজির হন। আহত শিক্ষার্থীরা তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের চিহ্ন প্রশাসনকে দেখায় এবং প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়। বিষয়টি শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছেন।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো ভর্তি পরীক্ষা চালু হবে সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ - dainik shiksha সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তি: দুই দিনে আবেদন প্রায় দুই লাখ শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগেও নামকাওয়াস্তে মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তক থেকে শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার বিষয়বস্তু অপসারণের দাবি এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ১ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গল্প কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের - dainik shiksha পাঠ্যপুস্তকে একক অবদান তুলে ধরা থেকে সরে আসার আহ্বান হাসনাতের ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032010078430176