বর্ণিল আয়োজন ও যথাযোগ্য মর্যাদায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রোববার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ। শোভাযাত্রাটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতা স্মারকের সামনে এসে শেষ হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ, দপ্তর, আবাসিক হল, ইনস্টিটিউটসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন বর্ণাঢ্য সাজে অংশগ্রহণ করে।
এরপর স্বাধীনতা স্মারকে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ। এরপর পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, আবাসিক হল, ইনস্টিটিউট, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মচারী ইউনিয়নসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এর আগে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালের শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন বেরোবি উপাচার্য।
সকাল ১১টায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারীর। তিনি বলেন, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত বর্বরোচিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রয়াসে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসামান্য অবদানের জন্য বাঙালির জাতির পিতার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের রাজনীতির ইতিহাসে সবার অগ্রভাগে থেকে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে আলোর পথ দেখিয়েছেন। তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনের সোনার সফল আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মজিব উদ্দিন আহমদ।
বেরোবিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর কমলেশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. ফিরোজ আল-মামুন ও বেরোবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া।
আলোচনার শুরুতে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আশানুজ্জামানের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মো. বেলাল উদ্দিন।
দিবসটি উপলক্ষে বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এর আগে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদ। এদিকে, প্রশাসন ভবনসহ ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়।