বর্তমান পরিস্থিতিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রশাসনিক ক্ষমতা নিতে চান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে আট দফা দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়েকেরা। পরে প্রশাসনিক ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন অন্যতম সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ।
তাদের দাবিগুলো হলো-উপাচার্য তার যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করবেন এবং একজন যোগ্য ব্যক্তি তার স্থলাভিষিক্ত হবেন। প্রক্টরিয়াল বডিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করে সুষ্ঠু নেতৃত্ব চর্চা ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গঠনের লক্ষ্যে অতিদ্রুত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শহীদ আবু সাঈদ এর স্মৃতি রক্ষার্থে একটি স্মৃতিস্তম্ভ ১ নং গেটের নাম শহীদ আবু সাঈদ তোরণ, পারিবারিক আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বার্থে পরিবারের এক জনকে চাকরি দিতে হবে। আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপরাধীদের শনাক্ত করে, তাদের যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
নিরস্ত্র-নিরাপরাধ আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত শিক্ষক, কর্মকর্তাদের বরখাস্তসহ, হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মী-ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং যথাযথ তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অতি সত্তর সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মেধা, আর্থিক অস্বচ্ছলতার ভিত্তিতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে হলে শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা দিতে হবে। অবৈধভাবে সিট দখলকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং যেকোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় না দিয়ে শক্ত হাতে দমন করতে হবে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের কোনো রকমের একাডেমিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক বা আইনিভাবে হেনস্তা করা যাবে না এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে পরিচালিত হবে। যেহেতু এই মুহূর্তে একটি প্রশাসনিক শূন্যাতা বিরাজ করছে সেজন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হওয়ার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে সমন্বয়কারীদের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত করবো।
এর আগে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক ও প্রধানের দায়িত্বে থাকা ছয় শিক্ষক গত মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন।